LIC-র ২০% মালিকানা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে যাবে? ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এ বিষয়ে বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর পরেই দেশের বৃহত্তম আইপিও হিসাবে LIC-র শেয়ার বাজারে প্রবেশে করার পথ আরও উন্মুক্ত হবে।
একাধিক বিষয়ে আলোচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে এফডিআই নিয়ম সংশোধন করার একটি পরিকল্পনা রয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা স্বয়ংক্রিয় রুটের মাধ্যমে সরকারের অনুমোদন ছাড়াই অংশ গ্রহণ করতে পারবে। সরকারি আধিকারিকরা বুধবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রকে এ বিষয়ে ফোন করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি।
মহামারীর ফলে অবস্থা খারাপ। রাজস্ব কম। খরচ তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে চলতি অর্থবর্ষের বাজেট ঘাটতি মেটানো দুষ্কর। তবে এর জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা LIC-র আইপিও-র উপরেই নির্ভর করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
কিন্তু ভারতে তো বেশিরভাগ বিমা সংস্থায় ৭৪% প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন আছে
এ কথা সত্য যে বিমা সংস্থায় ৭৪% প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন আছে। তবে LIC-র ব্যাপারটা আলাদা। LIC-র ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য নয় কারণ এটি একটি বিশেষ সত্তা যা সংসদের আইন দ্বারা তৈরি। আর পাঁচটা বিমা সংস্থার সঙ্গে তাই এলআইসি-কে গুলিয়ে ফেলা যাবে না।
কখন কোনও বিদেশি বিনিয়োগকে FDI বলা হয়?
যখন কোনও ভারতীয় সংস্থায় ১০% বা তার বেশি প্রত্যক্ষভাবে বিদেশি ব্যক্তি বা সংস্থার বিনিয়োগ থাকে, তখন সেটা FDI বলে বিবেচনা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
এলআইসি-তে এফডিআই-এর ছাড়পত্র শুধু বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আইপিওতে অংশগ্রহণেরই অনুমতি দেয় না। বরং তালিকাভুক্তির পর উল্লেখযোগ্য অংশীদারিত্ব কেনার পথও সুগম করবে।
দাম
সরকার LIC-র ৮ ট্রিলিয়ন থেকে ১০ ট্রিলিয়ন টাকা (১৩৪ বিলিয়ন ডলার) ভ্যালুয়েশন হবে বলে আশা করছে। ৫%-১০% শেয়ার বিক্রির কথা ভাবছে কেন্দ্র। অর্থাত্, ৪০০ বিলিয়ন থেকে ১ ট্রিলিয়ন টাকা আসতে পারে কেন্দ্রের হাতে, এমনটাই বলা হচ্ছে ব্লুমবার্গের রিপোর্টে।
ব্যাঙ্কগুলি গত মাসে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। ২০২২ সালে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যেই আইপিও লিস্টিংয়ের আশা করছে ওয়াকিবহাল মহল।