Snail found in food video: খাবারের মধ্যে ঘুরছে জীবন্ত শামুক! ঘেন্নায় বমি উঠে আসার জোগাড় নেটপাড়ার- ভিডিয়ো

খাবারের মধ্যে যদি শামুল ঘুরে বেড়ায়, তাহলে কতটা ঘেন্না লাগতে পারে? ঠিক সেটাই হল বেঙ্গালুরুর এক ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁর খাবারে ছিল জীবন্ত শামুক। আর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যা দেখে বমি উঠে আসার জোগাড় হয়েছে।

খাবারের মধ্যে শামুক। (ছবি সৌজন্যে, এক্স @Dhavalsingh7)

খাবারের মধ্যে ঘুরছে শামুক - সেটা দেখলে কারও যে ঠিক কতটা ঘেন্না লাগতে পারে, তা খুব সহজেই অনুমেয়। আর ঠিক সেটাই হল বেঙ্গালুরুর এক ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁর খাবারের মধ্যে একটি জীবন্ত শামুক ছিল বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। প্রমাণস্বরূপ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন। যে ভিডিয়োয় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে রেস্তোরাঁ থেকে তিনি সেই খাবার অর্ডার দিয়েছিলেন, সেই রেস্তোরাঁর প্রতি রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। সেই ভাইরাল ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ সংস্থা সুইগি। যে সংস্থার মাধ্যমে খাবার আনিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। যদিও সুইগির কথায় একেবারেই সন্তুষ্ট হননি তিনি। বরং পুরো রিফান্ড মেলেনি বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তবে ওই শুধু ব্যক্তি নন, খাবারে জীবন্ত শামুক দেখে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ নেটিজেনই। ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে আঁতকে উঠেছেন তাঁরা। ঘেন্নায় বমি হওয়ার দশা হয়েছে। ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে একটা খাবারের কৌটোর মধ্যে একটি শামুক উঁকি মারছেন। সঙ্গে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, ‘লিয়ন গ্রিল জীবনে আর কখনও অর্ডার দেব না। সুইগি কেয়ার, যা করার দরকার করুন। কিন্তু নিশ্চিত করুন, যাতে অন্যদেরও এরকম জঘন্য অভিজ্ঞতার মুখে না পড়তে হয়। বেঙ্গালুরুর লোকজন, দয়া করে বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। জঘন্য একেবারে।’ সঙ্গে সুইগি কেয়ারস এবং সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁর অ্যাকাউন্টকেও ট্যাগ করেন।

সেই ভিডিয়োর নীচে সুইগি কেয়ারসের (সুইগির কাস্টমার কেয়ার সাপোর্ট) তরফে বলা হয়, 'এটা ভয়ংকর। দয়া করে আপনার অর্ডার আইডি দেবেন, যাতে আমরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারি।' সেই টুইটের প্রেক্ষিতে ওই ব্যক্তি বলেন, 'পুরো রিফান্ডও দিচ্ছে না কাস্টমার কেয়ার। আর কী নিশ্চিত করবেন, সেসব ভুলে যান। আর হ্যাঁ, পানীয়টাও ভুলভাল পাঠিয়েছিল।'

ভিডিয়োর নীচে কয়েকজন নেটিজেনের রিপ্লাইয়েরও জবাব দেন ওই ব্যক্তি। তিনি বলেন, 'আমি সত্যি বলছি, স্যালাডও এখন সুরক্ষিত নয়।' অপর একজনকে তিনি বলেন, ‘আমার ঘুমটাও নষ্ট করে দিল।’ তারইমধ্যে অনেকেই তাঁকে বিভিন্নরকম পরামর্শ দিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।