Covid-19 এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, সাইরেন বাজলেই কলতলায় ছুটছেন শহরবাসী

প্রতি ৩ ঘণ্টা অন্তর বেজে উঠছে তীব্র সাইরেন আর পুলিশের গাড়িতে বসানো হুটার। সঙ্গে সঙ্গে সব কাজ ফেলে জলের কলের সামনে হাজির হচ্ছে গোটা শহর।

সাইরেনের ভোঁ শুনলেই হাত ধুতে হাজির হচ্ছেন শহরের বাসিন্দারা। মধ্যপ্রদেশের সাগর শহরে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে নাগরিকদের নিয়মিত হাত ধোওয়ার অভ্যাস রপ্ত করার জন্য সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করছে বুন্দেসখণ্ড প্রশাসন।

প্রতি ৩ ঘণ্টা অন্তর বেজে উঠছে তীব্র সাইরেন আর পুলিশের গাড়িতে বসানো হুটার। সঙ্গে সঙ্গে সব কাজ ফেলে জলের কলের সামনে হাজির হচ্ছে গোটা শহর। নিষ্ঠাভরে চলেছে হাত ধোওয়া পর্ব।

মধ্য প্রদেশের রাজধানী ভোপাল শহর থেকে ১৮৬ কিমি দূরের সাগর শহরের বাসিন্দারা এই নতুন অভ্যাস রপ্ত করে ফেলেছেন অল্প দিনেই। দুই দিন আগে জারি করা সরকারি নির্দেশ মেনে বাড়ির বাইরে থাকলেও বাজারের নির্দিষ্ট স্থান-সহ বেশ কিছু প্রকাশ্য জায়গায় সামাজিক দূরত্বে বজায় রেখে হাত ধুতে দেখা যাচ্ছে শহরবাসীকে।

নাগরিকদের এই কাজে সাহায্য করতে বাজারের ব্যবসায়ীরা সম্মিলিত উদ্যোগে নির্দিষ্ট স্থানে জলের ড্রাম জড়ো করছেন প্রতিদিন। সঙ্গে থাকছে হাত ধোওয়ার সাবান ও স্যানিটাইজারও।

করোনা এড়াতে নিয়মিত নিষ্ঠাভরে হাত ধোওয়া রপ্ত করে ফেলেছেন বাসিন্দারা।

জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রতি তিন ঘণ্টার ব্যবধানে সাইরেন ও হুটার বাজিয়ে নাগরিকদের হাত ধোওয়ার বিষয়ে সতর্কতা জারির উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।

তবে শুধু হাত ধুয়েই থামছেন না সাগরের সিবান্দারা। সেই সঙ্গে দরজার হাতল, কড়া, লক, জানলার শার্সি, আলসে-সহ দোকান ও বাড়ির বিভিন্ন নিত্য ব্যবহৃত অংশও কীটনাশকের সাহায্যে সাফ-সুতরো করা চলেছে নিয়মিত।

বাজারের দোকানি ও ক্রেতাদের মিলিত হাত ধোওয়ার তদারকি করতেরবি ও সোমবার সশরীরে হাজির থেকেছেন জেলাশাসক প্রীতি মৈথিল নায়েক এবং পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট অমিত সংঘী।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ‘জেলা প্রশাসন ও পুলিশের এ এক যৌথ উদ্যোগ। অবশ্যই জনমানসে সচেতনতা গড়ে তোলাই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। Covid-19 এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে WHO-এর নির্দেশিকা মেনে হাত ধোওয়া অভ্যাস করছেন শহরবাসী। তাঁদের থেকে অভাবনীয় সাড়া পাওয়ার পরে এবার আমরা তহশিল স্তরে এই উদ্যোগ কার্যকর করব।’