বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Maharashtra Political Crisis: রাজ্যপাল ভুল করলেও নিজের দোষে মহারাষ্ট্রের কুর্সি ফিরে পেলেন না উদ্ধব, রায় SC-র

Maharashtra Political Crisis: রাজ্যপাল ভুল করলেও নিজের দোষে মহারাষ্ট্রের কুর্সি ফিরে পেলেন না উদ্ধব, রায় SC-র

উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য যে 'ফ্লোর টেস্ট' ডেকেছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কেশিয়ারি, সেটা বৈধ ছিল না। সেক্ষেত্রে বড় ভুল করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেই পরীক্ষায় বসার আগেই যেহেতু ইস্তফা দিয়েছিলেন উদ্ধব, তাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে পুনর্বহাল করা যাবে না। 

নিজের ‘ভুলেই’ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ফিরে পাচ্ছেন না উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এমনই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য যে 'ফ্লোর টেস্ট' ডেকেছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কেশিয়ারি, সেটা বৈধ ছিল না। সেক্ষেত্রে বড় ভুল করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেই পরীক্ষায় বসার আগেই যেহেতু ইস্তফা দিয়েছিলেন উদ্ধব, তাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে পুনর্বহাল করা যাবে না। অর্থাৎ আপাতত একনাথ শিন্ডেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।

মহারাষ্ট্রে যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে শিন্ডে এবং উদ্ধব গোষ্ঠীর মধ্যে এখনও টানাপোড়েন চলেছে। বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, আদালত কোনও ইস্তফাপত্র খারিজ করে দিতে পারে। যেহেতু উদ্ধব ইস্তফা দিয়েছিলেন, তাই উদ্ধবকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে পুনর্বহাল করতে পারবে না শীর্ষ আদালত। তবে সেজন্য রাজ্যপালের ভূমিকা অসন্তোষ প্রকাশ করতে সুপ্রিম কোর্ট বিরত থাকেনি।

আরও পড়ুন: Uddhav Thackeray: 'শাহ কথা রাখলে আজকে মহারাষ্ট্রে BJP-র মুখ্যমন্ত্রী হত', গদি হারিয়ে তোপ উদ্ধবের

শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শিন্ডে গোষ্ঠীর বিদ্রোহের পর বিধানসভায় উদ্ধব সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুইয়েছেন বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন রাজ্যপাল, তাতে ভুল পদক্ষেপ করেছিলেন। আস্থাভোট ডাকার মতো কোনও বিষয় ছিল না রাজ্যপালের। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, 'দুটি দল বা একটি দলের মধ্যে সংঘাত মেটানোর উপায় হিসেবে কখনও আস্থাভোটকে ব্যবহার করা যায় না।' বিশেষত যেখানে উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বা নির্দল প্রার্থীরা অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেননি। তারপরও রাজ্যপাল যে কাজ করেছেন, সেটা আইন মেনে হয়নি। অর্থাৎ বেআইনি কাজ করেছেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন: Raj Thackeray's Advice to Eknath Shinde: ‘সতর্ক থাকবেন...’, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে একনাথ শিন্ডেকে উপদেশ রাজ ঠাকরের

মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকটের ইতিবৃত্ত

১) ২০২২ সালের ২০ জুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের নির্বাচনের পরই 'উধাও' হয়ে গিয়েছিলেন শিবসেনা নেতা শিন্ডে। পরে জানা গিয়েছিল যে বিজেপি-শাসিত গুজরাটে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরও ১১ জন বিধায়ক। 

২) ২২ জুন: গুয়াহাটিতে চলে গিয়েছিলেন শিন্ডে ও ৪০ জন বিধায়ক।

৩) ২৯ জুন: নয়দিন রাজনৈতিক নাটকের পরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন উদ্ধব। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কয়েক মিনিট পরেই ইস্তফা দিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে উদ্ধবকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।

৪) ৩০ জুন: মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন শিন্ডে।

৫) ৪ জুলাই: বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেন শিন্ডে। তাঁর পক্ষে পড়েছিল ১৬৪ ভোট। বিপক্ষে পড়েছিল ৯৯ ভোট।

৬) ৮ অক্টোবর: ৩ নভেম্বর আন্ধেরি ইস্টে উপনির্বাচনের আগে শিবসেনার প্রতীক ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ চাপিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

৭) ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি: নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল যে শিবসেনার তীর এবং ধনুক প্রতীক থাকবে শিন্ডে শিবিরের কাছে।

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)

বন্ধ করুন