হাই কোর্টের বিচারপতি ও মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে সম্মেলনে মুখোমুখি কথা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে ১৫ মিনিট কথা হয়। আঞ্চলিক ভাষাকে জোর দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও একাধিক বিষয়ে কথা হয়েছে দুজনের মধ্যে। তবে ঠিক কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দিল্লি যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের কোনও সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার বিকেলেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সকালে বিজ্ঞান ভবনে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিরা পৌঁছে যান। সম্মেলনের ফাঁকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা হয় প্রধানমন্ত্রীর। এই সম্মেলনে আঞ্চলিক ভাষাকে জোর দেওয়ার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ন ইংরেজিতে পরিচালিত হয়। একাধিক রাজ্যে প্রযুক্তিগত শিক্ষা মাতৃভাষায় হচ্ছে। মাতৃ ভাষায় পড়াশোনা হলে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের উচ্চশিক্ষায় আর কোন সমস্যা হবে না। আঞ্চলিক ভাষাকে গুরুত্ব দিতে হবে।’ আইনের ভাষা ও সহজ বোধগম্য হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক ভাষায় জোর দেওয়ার কথা বলায় তাঁর প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবারই দিল্লি থেকে ফিরে আসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তিনি এদিন ফিরে আসছেন না। রবিবার কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাই কোর্টের বেঞ্চ রয়েছে। নিউটাউনে ইতিমধ্যেই ১০ একর জমি হাই কোর্টের নতুন বিল্ডিংয়ের জন্য দিতে পারবে রাজ্য সরকার।এর থেকে বেশি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। পুরনো বিল্ডিংটি বন্ধ করা হবে না, সেটিও কাজ করবে। কারণ, এটি হেরিটেজ বিল্ডিং। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়িতে হাই কোর্টের কাজ করা শুরু করেছে। যার ফলে উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের লোকজন যথেষ্ট সুবিধা পাবেন।’