তৃণমূল কংগ্রেসের সিদ্ধান্তে হতাশা ব্যক্ত করলেন মার্গারেট আলভা। কংগ্রেস নেত্রী তথা উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী স্পষ্টভাবে জানালেন, এটা অহংবোধ বা রাগ দেখানোর সময় নয়।
শুক্রবার উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী আলভা বলেন, ‘উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটদান থেকে বিরত থাকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা হতাশাজনক। এটা অহংবোধ (ইগো) বা রাগ দেখানোর সময় নয়। এটা সাহস দেখানো, নেতৃত্ব প্রদান এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার সময়। আমার বিশ্বাস, সাহসের ভরকেন্দ্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধীদের পাশে দাঁড়াবেন।'
আরও পড়ুন: Margaret Alva: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দিলেন মার্গারেট আলভা, পাশে রাহুল-শরদরা
যদিও আলভা ‘হতাশা’ প্রকাশ করার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীমতী আলভার প্রতি আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। তাঁকে কোনওরকমভাবে অশ্রদ্ধা করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র (প্রার্থী নির্বাচনের) পদ্ধতি নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। যা আমাদের সাংসদদের সিদ্ধান্তে প্রতিফলিত হয়েছে।’
অভিষেক কী বলেছিলেন?
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, মমতার সঙ্গে আলোচনা না করেই বিরোধীদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বেছে নেওয়ার জন্য রাতারাতি শরদ পাওয়ারের বাসভবনে বৈঠক সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অথচ লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে তৃণমূলের ৩৫ জন সাংসদ আছেন। তারপরও যেভাবে বিরোধীদের প্রার্থী ঘোষণা করা হল, তা একেবারে অবাঞ্চনীয়। প্রতিবাদস্বরূপ উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকছে তৃণমূল।
পরে একইসুরে মোজো স্টোরিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের দাবি করেন, ঘাসফুল শিবিরকে গুরুত্ব দিতে হবে। ১৫ মিনিট আগে ফোন করে বলা যায় না যে উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বেছে নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে তিনি দাবি করেন, এখন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল। ২০২৪ সালের বৃহত্তম হয়ে উঠতে পারে।