আইন ও শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় মন্দির নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল গত সপ্তাহে। এবার ত্রিপুরা-মিজোরাম সীমান্তের ফুলডুংসেই গ্রামে সাধারণের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল মিজোরাম সরকার।
গত ১৯ অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্দেশ জারি করা পর্যন্ত মিজোরামের মামিত জেলার ফুলডুংসেই জাম্পি এবং জোমুয়ান্তলাং এলাকায় পাঁচ জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, নিষেধজ্ঞা অমান্য করলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় দোষীর একমাসের কারাদণ্ড অনাদায়ে ২০০ টাকা জরিমানা অথবা দুইই প্রযোজ্য হবে।
শুক্রবার মিজোরামের জেলাশাসক ডক্টর লালরোজামা এক নির্দেশ জারি করে জানিয়েছেন, সংরংমা মানে এক প্রতিষ্ঠান মামিত জেলার থাইডো ইল্যাং অঞ্চলে একটি শিব মন্দির তৈরির যে পরিকল্পনা করেছে, তাতে রাজ্য সরকারের থেকে কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এই পরিকল্পনা স্থানীয় সম্প্রদায়ের মতের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে এবং তার জেরে শান্তি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উল্লিখিত সংরংমা স্থানীয় জনজাতিভুক্ত প্রতিষ্ঠান। ফুলডুংসেইয়ের পূর্ব প্রান্ত মিজোরামে পড়লেও প্রথাগত ভাবে ত্রিপুরার নর্থ ডিস্ট্রিক্টের কাঞ্চনপুর মহকুমার অন্তর্গত এই গ্রাম। গত অগস্ট মাসে কাঞ্চনপুর মহকুমা শাসক চাঁদনি চন্দ্রন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান, গ্রামের ১৩০ জন বাসিন্দার কাছে ত্রিপুরার রেশন কার্ড রয়েছে অথচ মিজোরামের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর মিজোরামের স্বরাষ্ট্র সচিব লালবিয়াকসাঙ্গি ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্র সচিব বি কে সাহুকে চিঠি লিখে বিতর্কিত ভূখণ্ডে শিব মন্দির নির্মাণ বন্ধ করার অনুরোধ জানান।