দু'দিন আগেই বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে খারিজ হয়ে গিয়েছিল আর্জি। তারপর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ও তাঁর ছেলে আদিত্যের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের মামলায় শনিবার গুজরাতের রাজকোট থেকে বিজেপির আইটি সেলের সক্রিয় সদস্য সমীত ঠাক্করকে গ্রেফতার করল নাগপুর পুলিশ। তাঁকে আবার টুইটারে ফলো করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শিবসেনার এক কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে সমীতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ (মানহানির জন্য শাস্তি), ২৯২ (জনসমক্ষে এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে সীতাবুলদি থানা। মুম্বই ভিপি রোড থানাতেও সমীতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। শিবসেনার আইনি পরামর্শদাতা ধরম মিশ্র অভিযোগ করেন, অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে টুইটারে উদ্ধব ও আদিত্যকে এক মুঘল সম্রাটের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন সমীত। একইসঙ্গে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের বিরুদ্ধেও ‘আপত্তিজনক’ মন্তব্য করেছিলেন। রাজ্য সরকার ও শিবসেনা নেতাদের নিয়ে উপহাস করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন উদ্ধবের দলের আইনি পরামর্শদাতা।
তারইমধ্যে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে গিয়েছিলেন সমীত। গত ২৮ অগস্ট সেখানে শর্তসাপেক্ষে অন্তবর্তীকালীন সুরক্ষাকবচ পেয়েছিলেন। হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। আর ১৩ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ছ'টা থেকে আটটার মধ্যে সীতাবুলদি থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তারপর ২০ অক্টোবর বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে আরও একটি বেঞ্চে আবেদন দাখিল করেন সমীত। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘মনে হচ্ছে একদিকে আবেদনকারী অন্তর্বর্তীকালীন কবচ চাইছেন। অন্যদিকে তিনি মনে করছেন যে হাইকোর্টের শর্ত মানার প্রয়োজন নেই। তিনি মনে করছেন, কারোর সহায়তা ছাড়াই তিনি নিজের সাহায্য করতে পারবেন। যদি এটাই তাঁর আচরণ হয়, তাহলে বেঞ্চ মনে করে, এই আর্জি গ্রহণ করা উপযুক্ত হবে না।’
সেই আর্জি খারিজের পরই তৎপর হয় পুলিশ। রাজকোটে সমীতের উপস্থিতির খবর পেয়ে সেখানে যায় নাগপুর পুলিশের একটি দল। এক শীর্ষ পুলিশকর্তা জানিয়েছন, শনিবার সন্ধ্যায় সমীতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নাগপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে।