প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্দির প্রতিষ্ঠা হল তামিলনাডুতে। মন্দিরটি তৈরি করেছেন ত্রিচির এক প্রৌঢ় কৃষক তথা বিজেপি কর্মী পি শঙ্কর (৫০)।
নমোর প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে নিজের কৃষিজমির উপরে মন্দির তৈরির পরিকল্পনা করেন শঙ্কর। বিশেষ করে, প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের জন্য মোদীর প্রতি তিনি অশেষ কৃতজ্ঞ, জানিয়েছেন ‘নমো টেম্পল’-এর নির্মাতা।
গত কয়েক দিন যাবত মন্দিরে ভিড় বাড়ছে ভক্তজনের। ত্রিচির থুরাইয়ুর ব্লকের এরাকুডি গ্রামের বাসিন্দা শঙ্কর জানিয়েছেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে মন্দির গড়ার স্বপ্ন আমার। আমি চেয়েছিলাম, দ্বিতীয়বারও প্রধানমন্ত্রীর আসনে নরেন্দ্র মোদীই বসুন। তখনই ঠিক করেছিলাম, এবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে ওঁর নামে নিজের জমিতে মন্দির তৈরি করব।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের সাহায্যের জন্য প্রকল্প ঘোষণার পরে খুব আনন্দিত হয়েছিলাম। আমার জমির একটি অংশ মন্দিরের জন্য বেছে নিই। নিজের জমানো ১.২০ লাখ টাকা প্রধানমন্ত্রীর জন্য মন্দির নির্মাণ খাতে খরচ করি। এর জন্য কারও কাছে একটাকাও চাইনি।’
মেডিক্যালে ভরতির জন্য জাতীয় যোগ্যতা ও প্রবেশিকা পরীক্ষা এনইইটি চালুর সিদ্ধান্ততেও খুশি শঙ্কর। অকপটে জানিয়েছেন, ‘দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় আমার মেয়ে ১১০৫ নম্বর পায়। মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় ২ নম্বর কম পাওয়ার ফলে সে অকৃতকার্য হয়। বেসরকারি কলেজে মেডিক্যাল কোর্সে ভরতি হতে গেলে ৫০ লাখ টাকা চায়। এর পরে তাকে আমি আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভরতি করি। এনইইটি চালু হওয়ার পরে যোগ্য প্রার্থীরা মেডিক্যালে ভরতি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এর ফলে বিপাকে পড়েছে অর্থের বিনিময়ে বেসরকারি কলেজে মেডিক্যালে ভরতি করার বেআইনি ব্যবসা।’
মন্দিরে প্রধানমন্ত্রীর বিগ্রহ বসাতে গিয়ে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েচে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে প্রথমে ধাতুর তৈরি মূর্তি বসানোর ইচ্ছে থাকলেও পরে টাকার অভাবে তা পেরে ওঠেননি বলে স্বীকার করেছেন। এর পর গ্র্যানাইট পাথরের মূর্তি বসাতে গেলে দেখা যায়, খরচ পড়বে ৮০ হাজার টাকা। তাই বাধ্য হয়ে দশ হাজার টাকায় কংক্রিটের ২ ফিট উঁচু মূর্তিই বসাতে পেরেছেন শঙ্কর।
নমো মন্দিরে স্থান পেয়েছে এআইএডিএমকে নেতা এম জি রামচন্দ্রন, জে জয়ললিতা ও তামিলনাডুর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এডাপ্পাডি কে পালানিস্বামীর ছবিও। শঙ্করের দাবি, ‘ওঁরা তো আমাদের বন্ধুই। ওঁদের সম্মান করি।’
মন্দির উদ্বোধন করতে ‘কুম্ভভিষেক’ পুজোর আয়োজন করবেন বলে ঠিক করেছেন শঙ্কর। তাঁর স্বপ্ন, মন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তবে বাস্তবোচিত চিন্তায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের উপস্থিতি আশা করছেন প্রৌঢ় কৃষিজীবী।