রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ নেননি। তাঁর মিডিয়া উপদেষ্টার লেখা বইতে তেমনটাই বলা হয়েছে। খবর এনডিটিভি সূত্রে।
১৯৯৮-২০০৪ সাল পর্যন্ত বাজপেয়ীর মিডিয়া উপদেষ্টা ছিলেন অশোক ট্যান্ডন। তাঁর বই দ্য রিভার্স সুইং। কলোনিয়ালিজম টু কো-অপারেশন। সেখানে বলা হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীই কে আর নারায়ণনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে এপিজে আব্দুল কালামকে রাষ্ট্রপতি করার জন্য় সুপারিশ করেছিলেন। তবে কংগ্রেস এই সুপারিশে কিছুটা অবাক হয়ে যায়।
মুলায়ম সিংকে উদ্ধৃত করে বইতে বলা হয়েছে, ডঃ কালাম আমার পছন্দের।
বইতে বলা হয়েছে সেই সময় এনডিএ টিম বলেছিল এলকে আদবানিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে বাজপেয়ী রাষ্ট্রপতির পদপ্রার্থী হিসাবে লড়াই করুন। আর তখন বাজপেয়ী জানিয়েছিলেন যদি প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি পদের জন্য লড়াই করেন আর সংখ্য়াগরিষ্ঠ ভোটে জিতে যান তবে সেটা ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রকে ক্ষতি করবে। আগামী নেতৃত্বের জন্য় এটা ভয়াবহ উদাহরণ তৈরি করবে।
ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, একজন প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রপতি পদে লড়লে সেটা ভালো দেখায় না ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে।
বইতে ট্যান্ডন লিখেছেন, আমি মনে করতে পারি সোনিয়া গান্ধী, প্রণব মুখোপাধ্য়ায়, ডঃ মনমোহন সিং তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। প্রথমবার তাঁদের একথা জানানোর পরে বাজপেয়ী দৃশ্য়তই তাঁদের চমকে দিয়েছিলেন। আসলে তিনি জানিয়েছিলেন. এপিজে আব্দুল কালামকে রাষ্ট্রপতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনডিএ।
শুনেই নীরব হয়ে গিয়েছিলেন সোনিয়া। বলেছিলেন তাঁকে সমর্থন করা ছাড়া অন্য পথ নেই। তবে আপনার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
এদিকে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু পিটিআইকে জানিয়েছিলেন, ২০০৪ সালে দাবি করেছিলেন যে বাজপেয়ীকে রাষ্ট্রপতি পদ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি এটা প্রত্যাখান করেন।
এই বইতে কার্যত বাজপেয়ীর রাজনৈতিক জীবনের অজানা কথা সামনে এল এবার। সেটাই তুলে ধরেছেন তাঁরই একসময়ের মিডিয়া উপদেষ্টা অশোক ট্যান্ডন।