সাংসদদের ভোটের নিরিখে শীর্ষস্থানে থেকে ‘ফাইনালে’ পৌঁছেছেন ঋষি সুনক। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আসল দৌড় অবশ্য এখন শুরু। প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাসের কাছে অবশ্য অনেকটাই পিছিয়ে ঋষি। এমনই তথ্য উঠে আসছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা রিপোর্টে। ইউগভ সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ঋষির থেকে ২৪ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন লিজ। এই সমীক্ষা অনুযায়ী, বরিস জনসন পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে বর্তমান বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস।
এর আগে মোট আট জন কনজারভেটিভ নেতা দলের পরবর্তী প্রধান হওয়ার জন্য মনোনয়ন পেশ করেছিলেন। ব্রিটিশ সাংসদদের কয়েক রাউন্ড ভোটাভুটি পর ঋষি সুনক এবং লিজ ট্রাস শেষ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বেঁচে ছিলেন লড়াইয়ে। এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে থেকে কনজারভেটিভ পার্টির সমস্ত সদস্যরা একজনকে বেছে নেবেন বরিসের উত্তরসূরি হিসেবে। এর আগে সাংসদদের মাঝে নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করলেও সদস্যদের মনে এখনও সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি ঋষি সুনক। তার অন্যতম কারণ ঋষির কর পরিকল্পনা।
ঐতিহাসিক ভাবে কনজারভেটিভ পার্টি কম কর আরোপ করার পক্ষে। তবে ঋষি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন সেদেশের আয়করের হার বিগত সাত দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যায়। এই আবহে ঋষি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ব্যাকফুটে। শুধু তাই নয়, বরিস জনসনও নিজের সমর্থক এবং ঘনিষ্ঠ মহলে ‘আবেদন’ জানিয়েছেন যাতে ঋষিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া না হয়। উল্লেখ্য, সাজিদ জাভিদ এবং ঋষি সুনকের পদত্যাগের পরেই টালমাটাল পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন বরিস। শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার ঘোষণা করতে হয়। পাশাপাশি তিনি কনজারভেটিভ নেতার পদ থেকেই সরে দাঁড়ান। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে থাকবেন বরিস। সেদিনই কনজারভেটিভ পার্টি নিজেদের পরবর্তী নেতা বেছে নেবে। সেই নেতাই ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। যদি বর্তমান সমীক্ষার ধারাকে পালটে দিয়ে ঋষি সেদিন জিততে পারেন, তাহলে তিনি প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবেন।