‘অভাবের সময় কাটিয়ে সচ্ছল হয়েছে ভারত’, এমনই মত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের। শনিবার সিম্বায়োসিস ইন্টারন্যাশনালের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত দুই দশকে আমরা ব্যাপক পরিবর্তনের সাক্ষী থেকেছি। ল্যান্ডলাইন ফোন থেকে মোবাইল ফোন, মোবাই ওয়ালেটের সময়ে চলে এসেছি আমরা।’ এই আবহে গতকাল পড়ুয়াদের ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত’-এ অবদান রাখার জন্য অনুরোধ করেন অর্থমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, আগামী বছর জি২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক ভারত। এই আবহে এই ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত’ মন্ত্রেই জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে নেতৃত্ব দিতে চাইছে ভারত।
নির্মলা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে জি২০-র সভাপতিত্ব গ্রহণ করেন৷ ভারতের সভাপতিত্বের উদ্দেশ্য হল 'বসুধৈব কুটুম্বকম: এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত'৷ প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রকে ‘লাইফ’ বলে সম্বোধন করেছেন। এটা পরিবেশের হিতে লাইফস্টাইলকে বোঝায়। ‘লাইফ’ পরিবর্তনের প্রতি নির্দেশ করে এবং পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়াকে বোঝায়। আমাদের জীবনধারায় এমনভাবে পরিবর্তন আনতে হবে যাতে আমরা পরিবেশের উপর বোঝা না ফেলি। তবেই আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ বাঁচিয়ে রাখতে পারব।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সময়ে মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আপনার হৃদয় এবং অন্তর্দৃষ্টি আপনাকে সঠিক কাজ করতে পথ দেখাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সঠিক এবং ভুলের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা আপনাকে বুদ্ধিমান করে তোলে।’ এদিন নির্মলা পড়ুয়াদের হাতে ডিগ্রি তুলে দেন এবং তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন। এছাড়া ওমানের বৈদেশিক বাণিজ্য, শিল্প ও বিনিয়োগ প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পঙ্কজ খিমজি এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চের ন্যাশনাল চেয়ার ডঃ রমন গঙ্গাখেদকর ও সিজি পন্ডিতকে ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করেন নির্মলা।