পশ্চিমবঙ্গ যখন লাগাতার বৃষ্টিতে ভাসছে, ঠিক তখন বৃষ্টির দেখা মিলছে না প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায়। আর এর জেরে এবছর সেরাজ্যের ৩০টি জেলার মধ্যে ২১ জেলায় খড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর আগে ২০১৫ এবং ২০১৮ সালে এরম ভয়াবহ খড়ার মুখে পড়তে হয়েছিল ওড়িশাকে।
সেরাজ্যের রাজস্ব দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে যে চলতি বছরে শুধুমাত্র ৯ জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে। ৯ অগস্ট পর্যন্ত ওড়িশায় ৪৮৪.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিকের থেকে তা ২৮ শতাংশ কম। এর মধ্যে জজপুর জেলায় স্বাভাবিকের থেকে ৫৭ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে রাজ্যে কয়েক লক্ষ হেক্টর এলাকায় কৃষি কাজ ব্যাহত হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে কৃষি দফতরের তরফে।
জানা গিয়েছে গতবছর যেখানে ২৫.২২ লক্ষ হেক্টর জমিতে বীজ বপণ করা গিয়েছিল ধানের, সেখানে এবছর মাত্র ১৯.৯৭ লক্ষ হেক্টর এলাকায় ধানের বজ বপণ সম্ভব হয়েছে। এদিকে গতবছরের তুলনায় এবছর ফলনের গড়ও সাড়ে ৫ লক্ষ হেক্টর কম বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
এর আগে ২০১৮ সালে শেষবার খড়ার সাক্ষী থেকেছিল ওড়িশা। সেবার রাজ্যের ৯টি জেলা খড়া কবলিত হয়েছিল। পশ্চিম ওড়িশায় সেবার ৩৩ শতাংশ ফলন কম হয়েছিল। এদিকে পশ্চিম ওড়িশার জন্যে পৃথক দফতরের ঘওষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। এদিকে আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য, এবছর বঙ্গোপসাগরে যত নিম্নচাপ তৈরি হয়, তার মধ্যে মাত্র একটি নিম্নচাপ প্রভাব ফেলে ওড়িশার উপর। এর জেরেই এই খড়া পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা।