এক সরকারি আমলার গাড়ি ওভারটেক করেছিলেন দুই যুবক। এটাই নাকি দোষের। এরপরই সেই দুই যুবককে মারধরের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ওই সরকারি আমলার বিরুদ্ধে। এবার পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে। তার মধ্য়ে বান্ধবগড়ের এসডিএম অমিত সিং রয়েছেন বলে খবর। তাঁকে আপাতত সাসপেন্ড করা হয়েছে। এরিয়া তহশিলদার বিনোদ কুমার, এসডিএমের গাড়ির চালক নরেন্দ্র দাস পানিকারের নামও রয়েছে অভিযুক্তের তালিকায়।
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
এই ঘটনার একটা ৯ সেকেন্ডের ভিডিয়ো সামনে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, একটা মাহিন্দ্রা স্করপিওর সামনের কাঁচে এসডিএম স্টিকার লাগানো রয়েছে। তার পেছনেই মারুতি সুজুকি এক্সএল৬ দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তির পায়ে আঘাত করছেন। আর অপর তিনজন দাঁড়িয়ে দেখছেন।
সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে এক যুবকের পায়েতে বিরাট লাঠি দিয়ে অপর একজন দমাদম মারছেন। কিন্তু অপর যারা ওখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তারা একেবারে নির্বিকার।
এই ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। এদিকে যে যুবক মার খেয়েছেন তার দাবি, চার পাঁচজন ওই গাড়িতে বসেছিলেন। এসডিএম সেখানে লিখছিলেন। তিনি নেমে আসেন। এরপর আমাকে ও আমার বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে. আমরা ওই গাড়িটিকে ওভারটেক করেছিলাম। তারপরই আমাদের মারধর করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন মধ্য়প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, বান্ধবগড় এসডিএম যে ঘটনা ঘটিয়েছেন তা দুর্ভাগ্যজনক। ওই এসডিএমকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মধ্য়প্রদেশের সুশাসনের সরকার রয়েছে। মধ্য়প্রদেশে এই ধরনের অমানবিক আচরণ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না।
তবে অভিযুক্ত এসডিএম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই দুই যুবকের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। তিনি তাদের রক্ষা করতে গিয়েছিলেন।
এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন ওই আমলার সামনে এভাবে ওই দুই যুবককে মারধর করা হল, কেন তিনি এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ নিলেন না সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।