'মোদী' পদবী ঘিরে মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধী সদ্য দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের। সদ্য তাঁকে গুজরাট হাইকোর্ট এই মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি খারিজ করে দেয়। গুজরাট হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান রাহুল। এরপরই এদিন সুপ্রিম কোর্ট, গুজরাট হাইকোর্টের নির্দেশের সাপেক্ষে নোটিস ইস্যু করে।
তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে যে মামলা রাহুল গান্ধী দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টে, তার শুনানি আগামী ৪ আগস্ট হবে বলে জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই ও পিকে মিশ্রর বেঞ্চ মন্তব্য করেছে, ‘গোটা বিষয়টি হল যে, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ওপর স্থগিতাদেশ বসবে, নাকি বসবে না?’ এই বিষয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে মোদী পদবী ঘিরে মানহানি মামলা দায়েরকারী বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদীর থেকেও জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিকে, গুজরাট হাইকোর্টে এই মামলা ঘিরে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা বেশ দীর্ঘ ছিল। আর সেই দীর্ঘ নির্দেশপত্র দেখে বেশ খানিকটা বিরক্ত হয় সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ এতটা লম্বা কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, ‘ আমরা এই বিষয়ে এতটা দীর্ঘ নির্দেশের কারণ বুঝতে পারলাম না। গুজরাট হাইকোর্ট ১০০ পাতার রায় দিয়েছে। এত লম্বা রায় লেখা হাইকোর্টের অদ্ভুত ব্যাপার।’
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি রাহুলের তরফে ছিলেন। অন্যদিকে, আরও এক সিনিয়র আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি ছিলেন বিপক্ষে। এদিকে, বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর আগে বিচারপতি গভাই কোর্টকে জানান, চাঁর বাবা গত ৪০ বছর ধরে কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তবে বিচারপতি নিজে কংগ্রেসের সদস্য নন। গভাই জানান, তাঁর বাবা 'কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন, পরে রাজ্যপাল হয়েছিলেন কংগ্রেসের সাহায্যে, আমার ভাই রাজনীতিতে আছেন আর তিনি কংগ্রেসে আছেন'। এরপরও এই মামলায় তাঁর কাছ থেকে আইনজীবীরা এই মামলা শুনতে চান কি না, তা জেনে নেন বিচারপতি। তারপর শুরু হয় মামলার শুনানি। এর প্রেক্ষিতে অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘মাই লর্ড যেটা বললেন সেটা আমরা জানি। তবে সাম্প্রতিক সময়ের প্রেক্ষিতে সম্ভবত এটা তিনি বলতে বাধ্য হয়েছেন। আমাদের এতে সমস্যা নেই।’