আম্মার ব্রাহ্মণ থালি, ব্রাহ্মিণ আহার, ব্রাহ্মিন টিফিন ও কফি । বেঙ্গালুরুতে এই ব্রাহ্মণ লেখা খাবারকে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এনিয়ে পোস্ট হয়েছে টুইটারে। সেই পোস্টকে ঘিরে ফের প্রশ্নের মুখে জাতপাতের মতো বিষয়গুলি। পিলিরাজা নামে এক নেটনাগরিক একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে একাধিক রেস্তরাঁর একাধিক ডিশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই রেস্তরাঁর প্রতিটি ডিশের আগেই লেখা রয়েছে ব্রাহ্মণ শব্দটি। যেমন ব্রাহ্মণ কফি বার, ব্রাহ্মণ এক্সপ্রেস, আম্মার ব্রাহ্মণ থালি, ব্রাহ্মিণ আহার, ব্রাহ্মিণ টিফিন ও কফি, ব্রাহ্মিণ কাফে।
সুইগি ও জোমাটোর খাবারের তালিকাতেও উল্লেখ করা রয়েছে এই ব্রাহ্মণের খাবারের তালিকা। টুইটার ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, আপনি যখন আপনার হোটেলের খাবারের আগে ব্রাহ্মণ শব্দ ব্যবহার করছেন সেটা আর কিছুই নয়, সোজাসুজি জাতপাতের ব্যাপার। ব্রাহ্মণ্য পথে খাবার তৈরির কোনও ব্যাপার কোথাও নেই।
এনিয়ে অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া নেটপাড়ায়। এক নেটনাগরিক লিখেছেন, এর মধ্যে অন্যায়ের কিছু নেই। যদি হোটেলগুলিতে কেবলমাত্র ব্রাহ্মণদের খাওয়ার জন্য বরাদ্দ হয় তবে সেটাকে বলা যেতে পারে জাতপাতের ব্যাপার। কিন্তু সকলেরই যদি এখানে খাওয়ার অধিকার থাকে তবে সেটা কখনই জাতপাতের ব্যাপার নয়। ধর্মভিত্তিক এই ব্র্য়ান্ডিং আমাদের দেশে যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। যেমন হালাল, জৈন ফুড।
অপর এক নেটনাগরিক লিখেছেন, আমি তো কায়স্থ মেনুও দেখেছি। অপর একজন লিখেছেন ব্রাহ্মণ খাবারকে বয়কট করুন। অপর একজন লিখেছেন, আগে তো বাংলায় ব্রাহ্মণদের দ্বারা তৈরি খাবারের জায়গাও ছিল। যেগুলি হিন্দু হোটেল নামে পরিচিত।