চুরি তো নানারকম হয়। চাকরি চুরি, পুকুর চুরির কথা শুনেছেন বাংলার মানুষ। কিন্তু গার্ডার ব্রিজ থেকে নাটবল্টু চুরির কথা কোনওদিন শুনেছেন? তেমনটাই হয়েছে হরিয়ানার যমুনানগর জেলায়।
সম্প্রতি ইঞ্জিনিয়াররা সেই ব্রিজটি পরীক্ষা করে দেখেন। তখনই দেখা যায় সাহারানপুর-পাঁচকুলা জাতীয় সড়কের উপরে থাকা ওই ব্রিজ থেকে হাজার হাজার নাট বোল্ট উধাও হয়ে গিয়েছে।
এসএইচও সদর দীনেশ কুমার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন,যমুনানগরের ওই ব্রিজে এক ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষা করে দেখেছিলেন। তখনই দেখা যায় প্রায় হাজার চারেক নাট বোল্ট চুরি করা হয়েছে।
এদিকে কনস্ট্রাকশন কোম্পানির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কারা রয়েছে এর পেছনে? কতদিন ধরে এই দুষ্কর্ম করা হয়েছে?
এদিকে এপ্রিল মাসে বিহারে অভিযোগ উঠেছিল একটি আস্ত লোহার ব্রিজ চুরি করে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বিহারের রোহতস জেলায় সেই ব্রিজের ওজন ছিল প্রায় ৫০০ টন। সেই ব্রিজটিই খুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় সাড়া ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে।
সেই সময় স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল ব্রিজটি ১৯৭২ সালে তৈরি হয়েছিল। পরিত্যক্ত অবস্থাতেই পড়েছিল ব্রিজটি। সেই ব্রিজটি বাসিন্দারা ব্যবহার করতেন না। সেটিই খুলে নেয় দুষ্কৃতীরা।
এদিকে দুষ্কৃতীরা নিজেদের সরকারি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ৬০ ফুট লম্বা ব্রিজটি একেবারে প্রকাশ্যে কেটে নিয়ে চলে যায়। পরে বোঝা যায় আসলে ওরা সরকারি আধিকারিক নন। তবে চোর পালানোর পরে বুদ্ধি বেড়েছিল সেচ দফতরের।
অন্যদিকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে রেলের একটি লোকোমেটিভ ইঞ্জিনকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে।