রীতিমতো বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিলেন, ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি। কিন্তু তাতে কোনও লাভ তো হল না। জুটল না আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভূতি। উলটে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের দূতের মিথ্যা হাতেনাতে ধরে ফেলল ভারত। টুইট করে সেই মিথ্যাগুলি ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সত্যিটাও ফাঁস করে দিল রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশন। দেখে নিন পাকিস্তানের সেই পাঁচ মিথ্যার তালিকা -
ভারতের তরফে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, ‘যে দেশগুলি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য নয়, আজ (সোমবার) তাদের কোনও অধিবেশন হয়নি। ফলে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি ঠিক কোথায় সেই মন্তব্য করেছে, তা আমরা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি।’
প্রথম মিথ্যা : পাকিস্তান বলেছিল, 'দশকের পর দশক ধরে আমরা সীমান্ত সন্ত্রাসের শিকার।' কোনও মিথ্যা শয়ে শয়ে বার বললেও তা সত্যি হয়ে যায় না। ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত সন্ত্রাসের সর্ববৃহৎ চালিকাশক্তি নাকি নিজেদের সীমান্ত সন্ত্রাসের শিকার হিসেবে তুলে ধরছে! পাকিস্তানেই রাষ্ট্রসংঘের নথিভুক্ত জঙ্গির সংখ্যা সবথেকে বেশি। রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অনেক জঙ্গি ও জঙ্গি সংগঠন বহাল তবিয়তে পাকিস্তানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্বীকার করেছিলেন, পাকিস্তানে ৪০,০০০-৫০,০০০ জঙ্গি আছে।
দ্বিতীয় মিথ্যা : পাকিস্তান নাকি নিজেদের এলাকা থেকে আল কায়দাকে নির্মূল করে দিয়েছে! পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি হয়তো অবহিত নন যে তাঁদের দেশে বিনা বাধায় লুকিয়ে ছিল ওসামা বিন লাদেন। তাকে পাকিস্তানের মধ্যে খুঁজে পেয়েছিল মার্কিন বাহিনী। পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা হয়ত শোনেননি যে তাঁদের প্রধানমন্ত্রী আবার লাদেনকে ‘শহিদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
তৃতীয় মিথ্যা : পাকিস্তানকে ধাক্কা দিতে ভারত নাকি সন্ত্রাসবাদীদের 'ভাড়া' করে। এমনই হাস্যকর দাবি করা হয়েছে। আর সেটা বলছে কিনা এমন একটি দেশ, যারা সীমান্ত-সন্ত্রাসে মদত জোগায় এবং তাদের কাজের জন্য বিশ্বকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই দাবি উটকো ও অযৌক্তিক ছাড়া কিচ্ছু নয়।
চতুর্থ মিথ্যা : রাষ্ট্রসংঘের ১২৬৭ নিষিদ্ধ তালিকায় নাকি ভারতীয়রা আছেন। সেই তালিকা তো জনসমক্ষেই আছে এবং সারা বিশ্বই দেখতে পাবে যে তালিকায় কোনও ভারতীয়র নাম নেই। প্রমাণের ভিত্তিতে কাজ করে ১২৬৭ কমিটি। নজর ঘোরানোর জন্য কোনও ভুলভাল অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ করে না।
পঞ্চম মিথ্যা : ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে হাস্যকর মূল্যায়ন করেছে পাকিস্তান। যে দেশে কিনা ১৯৪৭ সাল থেকে ক্রমশ সংখ্যালঘু জনসংখ্যা কমেছে। এখন সেখানে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা মাত্র তিন শতাংশের মতো। তা বলপ্রয়োগ করে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা হ্রাস করার থেকে কম কিছু নয়। সঙ্গে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতের সার্বভৌম পদক্ষেপ নিয়েও মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। যে পদক্ষেপগুলি আদতে করা হয়েছে মানুষের কল্যাণে।