চিন সীমান্ত নিয়ে কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি দেওয়া হবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। তবে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন, সাংসদরা একসুরে সেনার পাশে থাকার বার্তা দেবেন বলে আশা করছেন তিনি।
করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেই সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। সেখানে ভারত ও চিন সীমান্ত বিবাদ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যথেষ্ট টানাপোড়েন চলবে বলে অনুমান। তার আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে মোদী বলেন, 'এই সংসদের একটি বিশেষ দায়িত্ব আছে। আজ আমাদের সেনার বীর জওয়ানরা দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সাহসিকতার সঙ্গে আছেন। শীঘ্রই বরফ পড়তে শুরু করবে। দেশকে রক্ষার জন্য তাঁরা সেখানে আছেন। সব সাংসদ জওয়ানদের বার্তা দেবেন যে সারা দেশ তাঁদের সঙ্গে আছে। এক সংকল্প, এক সুর, একই ভাবনার মাধ্যমে বার্তা দেবেন, তাঁরা বীর জওয়ানদের পাশে আছেন। আমার আশা, এই বার্তা প্রেরণ করা যাবে।'
একইসঙ্গে সাংসদদেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও বাদল অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে নিজেদের দায়িত্ব পালনের পথে বেছে নিয়েছেন সাংসদরা। মোদীর কথায়, 'আমি তাঁদের (সাংসদ) অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এবার দিনের ভিন্ন সময় লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন হবে। শনিবার এবং রবিবারও তা চলবে। সব সাংসদরা তা মেনে নিয়েছেন।'
কম সময়ের কারণ দর্শিয়ে এবার অধিবেশন থেকে জিরো আওয়ার এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব বাদ পড়েছে। তা নিয়ে বিরোধীরা সরব হলেও মোদীর আশা, অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি উঠে আসবে। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে এবং লোকসভায় আমাদের অভিজ্ঞতা আছে যে বিস্তারিত ও ব্যাপকভাবে আলোচনা হয়। আমরা সেই মহান ঐতিহ্য চালু রাখব এবং সব সাংসদ তাতে গুরুত্ব যোগ করবেন।'