জন্মদিনে মেয়েকে কুকুরের বাচ্চা দিতে চেয়েছিলেন মা। অনলাইনে পেট ডিলারের কাছ থেকে সেই কুকুরের বাচ্চা কিনতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও পাতা ছিল প্রতারণার ফাঁদ। ওই অপরিচিত প্রতারকের ফাঁদে পড়ে তিনি প্রায় ৬৬ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা খুইয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। দেরাদুনের সাইবার পুলিশ স্টেশনে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করেছে। তদন্তও শুরু হয়েছে পুরোদমে।
উত্তরাখণ্ড পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেডেন্ট অজয় সিং জানিয়েছেন, এক মহিলা গোল্ডেন রিট্রিভার প্রজাতির একটি কুকুর বাচ্চা তাঁর মেয়েকে জন্মদিনে দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন। সেই মতো তিনি অনলাইনে কুকুরের বাচ্চার খোঁজ করছিলেন। এরপর ২০শে জুন তিনি অনলাইনে একজনের খোঁজ পান যে ১৫ হাজার টাকায় কুকুরের বাচ্চা বিক্রি করতে রাজি। এরপর ইমেইল করে ওই ব্যক্তি জানায় প্রথমে তাকে ৫ হাজার টাকা দিতে হবে।
এরপর কুকুর ডেলিভারি করার পরে বাকি টাকা দিতে হবে। পরের দিন আবার একটি মেল পান যেখানে বলা হয় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। তবে এই টাকা ফেরৎ যোগ্য। এরপর তার কাছে একের পর এক ইমেইল আসতে থাকে। যেখানে সিপিং চার্জ সহ নানা খাতে মোট ৬৬ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা চাওয়া হয়। ওই মহিলা একে একে সব টাকাই অভিযুক্তের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন। এরপর ৩রা জুলাই ইমেলে বলা হয় দেরাদুনের জলি গ্রান্ট বিমানবন্দরের কাছে কুকুরের বাচ্চাটিকে আনা হয়েছে। তবে এজন্য আরও ২৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। এরপরই সন্দেহ হয় মহিলার। তিনি গোটা ঘটনা পুলিশকে জানান।