প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির আওতায় কৃষকদের আরও বেশি টাকা দিতে পারে কেন্দ্র। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত দুই আধিকারিক জানিয়েছেন, আপাতত পিএম কিষান যোজনার আওতায় কৃষকদের বার্ষিক ৬,০০০ টাকা প্রদান করা হয়। সাধারণ বাজেটে সেই অর্থ বাড়িয়ে ৮,০০০ টাকা করা হতে পারে।
'হিন্দুস্তান টাইমস'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় বাজেট তৈরির সময় পিএম কিষান যোজনায় অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এমনিতে কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2023) তৈরির আগে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকের থেকে যেমন সুপারিশ চাওয়া হয়, এবারও সেরকম আওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের সুপারিশও চেয়েছিল অর্থ মন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় বাজেট তৈরির সময় কী আলোচনা হয়েছিল? 'হিন্দুস্তান টাইমস'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে পিএম কিষান নিধির আওতায় কৃষকদের হাতে যাতে বেশি টাকা দেওয়া যায়, সেই সংক্রান্ত একাধিক সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেইসব প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখেছিল অর্থ মন্ত্রক। একটি প্রস্তাবে পিএম কিষান যোজনায় বার্ষিক ১২,০০০ টাকা প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছিল।
তবে দ্বিগুণ অর্থ প্রদানের সুপারিশ গৃহীত না হলেও পিএম কিষান যোজনায় বার্ষিক ৮,০০০ টাকার প্রদানের সিদ্ধান্ত করা হতে পারে। যা বাজেটে (২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট) ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। 'হিন্দুস্তান টাইমস'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে যা হিসাব করা হয়েছে, তাতে দেশের প্রায় ১২ কোটি কৃষককে বছরে ৮,০০০ টাকা প্রদান করা হয়, তাহলে কেন্দ্রের কোষাগার থেকে বছরে বাড়তি ২২,০০০ কোটি টাকা বেরিয়ে যাবে।
কেন পিএম কিষান যোজনায় অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হতে পারে? 'হিন্দুস্তান টাইমস'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই আধিকারিক জানিয়েছেন যে কৃষকদের হাতে বেশি টাকা থাকলে গ্রামীণ এলাকায় চাহিদা বাড়বে। মানুষ টাকা বেশি খরচ করতে চাইবেন। যা আখেরে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতির পথ প্রশস্ত করবে। সেইসঙ্গে পিএম কিষানকে গরিব মানুষের সর্বজনীন মৌলিক আয় প্রকল্পে পরিণত করার জন্য গত মাসে প্রস্তাব দিয়েছিল নীতি আয়োগ।
পিএম কিষান প্রকল্প
প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি বা পিএম কিষান প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের বছরে ৬,০০০ কোটি টাকা দেয় কেন্দ্র। চার মাস অন্তর সমপরিমাণে সেই অর্থ (প্রতিটি কিস্তিতে ২,০০০ টাকা তথা বছরে মোট ৬,০০০ টাকা) প্রদান করা হয়। সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই অর্থ জমা পড়ে। যে প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আপাতত কৃষকরা ত্রয়োদশ কিস্তির টাকার জন্য অপেক্ষা করছেন।