বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দু'দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে জটিলতা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর চলাকালীন তা কাটাতে তৎপর হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর আমলে ইন্দো-মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি কত কমেছে, কোন ক্ষেত্রে বাণিজ্য বেড়েছে, তা নিজের আইপ্যাডের মাধ্যমে মঙ্গলবার হায়দরাবাদ হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ট্রাম্পের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন : কিছুদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে বাণিজ্য চুক্তি, ট্রাম্পের সামনে আশ্বাস মোদীর
হায়দরাবাদ হাউসে উপস্থিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগে থেকে মোদীর এমন কোনও উপস্থাপনা তৈরি করা ছিল না। বরং তাৎক্ষণিকভাবেই আইপ্যাডে ট্রাম্পের সামনে দু'দেশের বাণিজ্য চিত্র তুলে ধরেন তিনি। সূত্রের খবর, মোদী দেখান, কীভাবে ২০১৪ সালে দু'দেশের বাণিজ্য ঘাটতি যেখানে ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল, সেখানে ২০১৮ সালে সেই ঘাটতির পরিমাণ ২৪.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। তিনি আরও দেখান, ২০১৩ সালে আমেরিকা থেকে ভারত হাইড্রোকার্বন আমদানি করেনি। সেখানে এখন ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের হাইড্রোকার্বন আমদানি করে নয়াদিল্লি। যা বছর শেষে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছুঁয়ে ফেলবে বলে জানান মোদী।
আরও পড়ুন : সব গল্পেরই দুটো দিক রয়েছে, কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাক সংঘাত প্রসঙ্গে মত ট্রাম্পের
মোদীর ব্যাখ্যা কিছুটা হলেও ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেছে, সেই প্রমাণও মিলেছে। সেই কারণে 'বড়' চুক্তি বাস্তবায়নের আগে চিনের ধাঁচে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ধাপে ধাপে এগোতে চাইছে ভারত-আমেরিকা। অর্থাৎ একেবারে বড় চুক্তির অপেক্ষায় না থেকে ছোটো ছোটো পদক্ষেপ করতে চাইছে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। সেজন্য আপাতত প্রথম পর্যায়ের চুক্তিকে দ্রুত আইনি রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে দু'দেশ।
আরও পড়ুন: CAA নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে ভারত, আশা পোটাসের
নাম গোপন রাখার শর্তে এক আধিকারিক বলেন, 'এখনও পর্যন্ত যে সমঝোতা হয়েছে, সেটির আইনি রূপ দেব আমরা। যত দ্রুত সম্ভব আইনি দলিল তৈরি করা হবে।' তবে আমেরিকার তরফে চুক্তি নিয়ে কিছু আইনি সীমাবদ্ধতা আছে। সেগুলির সমাধান করবে মার্কিন কংগ্রেস। ওই আধিকারিক জানান, 'দ্রুত প্রথম পর্যায়ের (চুক্তি) শেষ করতে চাই। তারপর দ্বিপাক্ষিক বড় বাণিজ্য চুক্তি (হবে)।'
আরও পড়ুন :মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য নিয়ে মোদীর 'প্রভাবশালী' জবাব মিলেছে, জানালেন ট্রাম্প
উল্লেখ্য, বাণিজ্য দ্বন্দ্ব কাটাতে কিছুদিন আগে একই পথে হেঁটেছিল চিন ও আমেরিকা। গত মাসে প্রথম পর্যায়ের চুক্তি সই করেছিল দু'দেশ। কয়েকটি চিনা দ্রব্যে শুল্ক ছাড় দিয়েছিল ওয়াশিংটন। পরিবর্তে বেশি পরিমাণে মার্কিন দ্রব্য, শক্তি কেনার অঙ্গীকার করেছিল বেজিং। এবার সেই একই পথে হেঁটে দ্রুত বাণিজ্য চুক্তির প্রথম পর্যায়ের চূড়ান্ত করতে চাইছে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন।