নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে ফোনে কথা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ফোনালাপে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নতির বিষয়ে কথা হয় রাষ্ট্রপ্রধানদের। উল্লেখ্য, দেউবার আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কেপি শর্মা ওলি। সেই সময় ক্রমাগত দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল চিনা হস্তক্ষেপের জেরে। তবে আশা করা হচ্ছে দেউবা ক্ষমতায় আসায় দুই দেশের সম্পর্ক ফের মেরামত হতে পারে।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এই ফোনালাপ প্রসঙ্গে বলে, 'দুই রাষ্ট্রপ্রধান দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা করেন। করোনা অতিমারী নিয়েও একে অপরকে সাহায্য করা নিয়ে আোচনা হয়েছে। দুই দেশের কয়েক শতকের সম্পর্কের কথা এবং ব্ন্ধুত্বের কথা উঠে আসে তাঁদের কথায়। সব ক্ষেত্রেই দ্বিপাক্ষিত সহযোগিতার কথা বলেন দুই নেতা।'
উল্লেখ্য, দীর্ঘ টালবাহানার পর আস্থা ভোটে জিতে পঞ্চমবারের জন্য নেপালের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেন নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা। এর আগে গতকালই দেউবাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারত-নেপাল সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। মোদীকে ধন্যবাদ জানান দেউবাও।
প্রসঙ্গত, নেপালের সরকার ও প্রশাসন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। গত ২১মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ওলি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধন্ত নেন। সোমবার তাঁর সেই সিদ্ধান্ত নামঞ্জুর করে দেয় শীর্য আদালত। একইসঙ্গে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শের বাহাদুরকে নিয়োগেরও নির্দেশ দেয় সংশ্লিষ্ট পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি চোলেন্দ্র শামশের রানা। বেঞ্চের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ওলির দাবি অসাংবিধানিক।