দীপাবলি মানেই সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই মতো এবারও কাশ্মীর সীমান্তের নৌসেরায় জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি কাটাতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে গিয়ে জওয়ানদের ভোকাল টনিক দিতে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী জওয়ানদের উদ্দেশে বলেন, 'আমি প্রতিটি দীপাবলি সীমান্ত পাহারা দেওয়া সৈন্যদের সাথে কাটিয়েছি। আজ, আমি আমার সাথে এখানে আমাদের সৈন্যদের জন্য কোটি কোটি ভারতীয়ের আশীর্বাদ নিয়ে এসেছি। আমাদের সৈন্যরা 'মা ভারতীর' 'সুরক্ষা কবচ'। আপনাদের কারণেই আমাদের দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারে এবং উৎসবে আনন্দ থাকে। জঙ্গিদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন জওয়ানরা। জওয়ানদের জন্য সমগ্র দেশবাসী দ্বীপ জ্বালাবে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময় এই ব্রিগেড যে ভূমিকা পালন করেছিল তা প্রত্যেক ভারতীয়কে গর্বিত করে।'
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশের আত্মনির্ভরতার বার্তা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত এখনও আত্মনির্ভর। অর্জুন ট্যাঙ্ক থেকে তেজস বিমান এখন দেশে তৈরি হচ্ছে। আগে আমাদের কোনও সরঞ্জাম বা কিছু খারাপ হলে অন্য দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হত। তবে এখন আর এটা করতে হয় না। আমাদের আত্মবিশ্বাস আত্মনির্ভরতায় পরিণত হয়েছে। এর আগে নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে বহু বছর লেগে যেত। প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতার প্রতিশ্রুতিই পুরানো পদ্ধতি পরিবর্তনের একমাত্র উপায়।'
'লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ, জয়সালমের থেকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় যোগাযোগ উন্নত হয়েছে। এটি আমাদের নির্মাণের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেছে।' প্রতিরক্ষা খাতে নারীদের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, 'দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকা নতুন উচ্চতায় ছুঁয়ে চলেছে। সেনাবাহিনীতে এখন নারীদের স্থায়ী কমিশন দেওয়া হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ সামরিক প্রতিষ্ঠানের দরজাও এখন মহিলাদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।'
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নরেন্দ্র মোদী সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জওয়ানদের সঙ্গে অনেক বার দীপাবালি পালন করেছেন। দীপাবলি উপলক্ষে জওয়ানদের তিনি মিষ্টি আর নানা রকম উপহারও দেন। ২০১৯ সালের দীপাবলিতেও তিনি রাজৌরিতে ছিলেন মোদী।