একসময় ছিলেন ঘনিষ্ঠ। রাতারাতি তাঁকে দলের সহ-সভাপতি বানিয়ে দেন নীতিশ কুমার। তাঁর পরে সংযুক্ত জনতা দলের দায়িত্ব নেবেন প্রশান্ত কিশোর, এমনটাও মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই মত ও মতাদর্শে বিভেদ। তিক্ততার মধ্যে জেডিইউ ছাড়েন প্রশান্ত কিশোর। সম্পর্কে সেই ক্লেশ যে এখনও অব্যাহত, সেটা নীতিশ কুমারের প্রতি অভিনন্দন বার্তাতেই বুঝিয়ে দিলেন আই প্যাক প্রতিষ্ঠাতা।
সপ্তম বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন নীতিশ কুমার। কিন্তু এবার জেডিইউ-র ভরাডুবি হয়েছে আগের চেয়ে অনেক আসন কমেছে। মূলত বিজেপির বদান্যতায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা তাঁকে আক্রমণ করেছে। এবার একদা ঘনিষ্ঠ প্রশান্ত কিশোর বললেন যে বিজেপির বদান্যতায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নীতিশ কুমারকে অভিনন্দন।
প্রশান্ত কিশোরের পূর্বাভাস হল যে ক্লান্ত ও রাজনৈতিক ভাবে ধাক্কা খাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিহারে খুব সাদামাটা ভাবে সরকার চলবে আগামী কয়েক বছর।
প্রায় একই ভাবে ঠেস দিয়ে নীতিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এলজেপি নেতা চিরাগ পাসওয়ান। তিনি বলেন যে আশা করি আগামী পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন নীতিশ। প্রসঙ্গত ভোটের আগে এনডিএ ছেড়ে আলাদা লড়ে এলজেপি। নিজেরা একটা আসন পেলেও জেডিইউ-কে ২৭টি আসনে হারাতে সক্ষম হয়েছে তারা। এর জেরেই ছোটো শরিক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নীতিশ কুমার। শুনতে হচ্ছে নানান কটাক্ষ। এমনকী তাঁর পছন্দের উপমুখ্যমন্ত্রীকেও সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি। কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, বিজেপিকে প্রশ্ন করুন, সুশীলকে মিস করব। ফলে প্রশান্ত কিশোরের ঠেস দেওয়া কথার মধ্যে কিছুটা যে সত্যি আছে, প্রথম দিনেই তা স্পষ্ট।