ভারত থেকে সামুদ্রিক খাদ্য আমদানি করে থাকে কাতার। ফুটবল বিশ্বকাপের আগে আশা করা হয়েছিল সেই আমদানির পরিমাণ আরও বাড়বে। তবে সাম্প্রতিককালের কিছু চালানে ক্ষতিকারক মাইক্রোব্যাক্টেরিয়া মেলায় এবার ভারত থেকে সাময়িকভাবে সামুদ্রিক খাদ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ। রবিবার শুরু হতে চলা বিশ্বকাপের আগে সেদেশে খাদ্য সামগ্রীর পরীক্ষা চলেছিল। সেই সময়ই দেখা যায়, ভারত থেকে রফতানি হওয়া কিছু চালানের চিংড়ির গুণগত মান ঠিক নেই। জানা গিয়েছে, যে চালান নিয়ে সমস্যা, সেগুলি অক্টোবর নাগাদ ভারত থেকে কাতারে গিয়ে পৌঁছেছিল।
পরীক্ষার পর ভারতীয় চিংড়ির গুণগত মান নিয়ে সমস্যার বিষয়টি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঊর্ধ্বতন কর্তাদের জানায় সেদেশের ‘মেরিন প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি’। জানা গিয়েছে, ভারতের ছ’টি রফতানিকারকের চালান দেওয়া চিংড়িতে সমস্যা পাওয়া গিয়েছে। এদিকে ভারতের ‘সিফুড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন’ জানিয়েছে যে কাতার কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে শীঘ্রই তারা ভারতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। তবে চিংড়ি সহ সিফুড রফতানির আগেই ভারতের ‘এক্সপোর্ট ইনস্পেকশন এজেন্সি’র (কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে) অনুমোদন পেতে হবে।
জানা গিয়েছে কাতারের ‘মেরিন প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি’ ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে থাকা ভারতীয় সংস্থাগুলিকে শোকজ নোটিশ ধরিয়েছে। অপরদিকে ভারতীয় ‘এক্সপোর্ট ইনস্পেকশন এজেন্সি’ সেই সংস্থাগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। হিসেব বলছে, গতবছর ভারত থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৪০০০ টন সিফুড রফানি করা হয়েছিল কাতারে। ভারতের চিংড়ি এবং সিফুডের খুব গুরুত্বপূর্ণ বাজার কাতার। তাই এভাবে কাতার বিশ্বকাপের আগে ভারতের সিফুড শিল্পে বড় ধাক্কা খেয়েছে এই নিষেধাজ্ঞার জেরে। তবে সেই সমস্যা মেটাতে উদ্যত হয়ে ব্যবসায়িক সংগঠন এবং ভারত সরকার।