ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন প্রশাসন কী ভাবছে? শুক্রবার প্রাক্তন মার্কিন কূটনীতিবিদ নিকোলাস বার্নসের সঙ্গে আলোচনায় এমনই প্রশ্ন করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
শুক্রবার আলোচনায় নিকোলাস বার্নস বলেন, 'ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো গণতান্ত্রিক দেশগুলির উচিত্ চিনের মতো অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ করে তোলা।' তার প্রেক্ষিতেই রাহুল পাল্টা প্রশ্ন করেন।
'ভারতে যা যা হচ্ছে, তাই নিয়ে আমি মার্কিন প্রশাসনকে কখনও কিছু বলতে শুনি না। আপনারা তো গণতন্ত্রের স্বার্থে জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বান করছেন। তার আগে বলুন ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের কী মতামত?' সরাসরি প্রশ্ন করেন রাহুল গান্ধী।
এদিন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রাহুল-নিকোলাস। চিনের পুঁজিবাদী আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ নিয়েও আলোচনা হয়।
অর্থনীতি ও বিদেশনীতিই ছিল শুক্রবারের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন রাহুল। করোনা পরিস্থিতিতে জো বাইডেনের আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে রাহুলের মতামত জানতে চান নিকোলাস। প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেন, 'প্রেসিডেন্ট বাইডেন ঠিক যা করণীয়, সেটাই করেছেন। ভারতেরও এভাবেই ভাবা উচিত্। আমাদের সরকার তো সিস্টেমে টাকাই ঢালতে চায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অতুলনীয় কাজ করেছে।'
এছাড়া বর্তমানে ভারতের বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়াও উঠে আসে আলোচনায়। রাহুল বলেন, 'কিছু ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলির সত্যিই অবদান রয়েছে। কিন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভারতে সরকারি ক্ষেত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য।'
ভারতের রাজনীতির প্রসঙ্গেও আলোচনা করেন তাঁরা। সেখানে রাহুল জানান যে কংগ্রেসের একটা পূনর্গঠনের সত্যিই প্রয়োজন ছিল। সেই কাজ সম্পন্নও হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, 'আমার সেই আগের মতোই নেই আর। কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ভরসায় আমরা চলি না। অন্যদিকে সম্পূর্ণ সিস্টেমটা রীতিমতো নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি।'
'তবে আমাদের সুযোগও আছে অনেক। আমাদের নিজেদেরকেও নতুন করে গড়ে তুলতে হবে,' আশাবাদী রাহুল। বর্তমান সরকারের উপর মানুষ দ্রুত আস্থা হারাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।