সদ্য খারিজ হয়েছে তাঁর সাংসদ পদ। এরপর তাঁকে সংসদের বাংলো খালি করার নোটিশও পাঠানো হয়। সেই নোটিসের প্রেক্ষিতে এবার জবাব দিলেন রাহুল গান্ধী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি পাঠিয়ে রাহুল লেখেন,' ৪ বারের নির্বাচিত লোকসভার সদস্য হিসাবে এখানে কাটানো ভালো সময়ের স্মৃতির জন্য আমি বাধিত জনমতের কাছে। আমার অধিকারের প্রতি কুসংস্কার না করে, আমি অবশ্যই আপনার চিঠিতে থাকা বিশদগুলি মেনে চলব।'
দিল্লির ১২, তুঘলঘ লেনের বাংলো ছাড়ার জন্য ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধীর কাছে আসে নোটিস। কংগ্রেসের ওয়েনাদের সাংসদ হিসাবে ইতিমধ্যেই তাঁর পদ খারিজ হয়েছে। ২০১৯ সালে মোদী পদবী নিয়ে একটি মন্তব্যের জেরে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা হয়। সেই মামলায় সদ্য মোদীগড় গুজরাটের সুরাট কোর্ট রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের কারাবাস ও ১৫ হাজার টাকার জরিমানা করে। এরপর সেই ২ বছরের কারাবাসের জেরে সাংসদ পদ খোয়ান রাহুল। উল্লেখ্য, সাংবিধানিক নিয়মে ২ বছর বা তার বেশি কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কারাবাসের সাজা পেলে তাঁর পদ খারিজ হয়। রাহুলের আগে আজম খান থেকে শুরু করে কুলদীপ সেনগারের মতো নেতাদের পদ খারিজ হয়েছে। উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী আপাতত ১ মাসের জামিনে রয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, যে মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, সেই মন্তব্য নিয়ে তিনি ক্ষমা চাইবেন না। (‘মাখন লাগাতে পারব না, কাজ পছন্দ হলে ভোট দিন, না হলে দেবেন না,’ বার্তা গডকড়ির)
এদিকে, রাহুলকে ঘিরে কংগ্রেস পরবর্তী কোন কৌশল নেয় তা ২০২৪ লোকসভা ভোটের নিরিখে বেশ খানিকটা তাৎপর্যপূর্ণ। এদিকে, ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ‘সংকল্প সত্যাগ্রহ’ শুরু করেছে। সেখানে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে কার্যত নিজের বক্তব্যে ঝড় তুলেছেন। মঞ্চ থেকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক শক্তিশেল তাক করেছেন তিনি। এরপরই আসে রাহুলের কাছে সাংসদের বাংলো ছাড়ার নির্দেশ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup