সচিন সাইনি
রাজ্যের নারী সুরক্ষার বেহাল দশা নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজস্থানের মন্ত্রী রাজেন্দ্র গুড়া। আর তার জেরেই এবার মন্ত্রিত্ব গেল তাঁর। ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়তেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের অফিস থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, মুখ্য়মন্ত্রী অশোক গেহলট ওই মন্ত্রীকে অপসারিত করার ব্যাপারে রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করেছেন। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
রাজেন্দ্র সৈনিক কল্যাণের স্বাধীন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও হোমগার্ড, সিভিল ডিফেন্স, পঞ্চায়েতি রাজ ও গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আসলে রাজস্থান মিনিমাম গ্যারান্টিড ইনকাম বিল নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সেই সময় ওই মন্ত্রী নানাভাবে নারী সুরক্ষার কথা বলে বিধানসভাতেই রাজ্য সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেন। তিনি বলে ফেলেন, রাজস্থানে নারীদের সুরক্ষা দিতে আমরা ব্যর্থ,যেভাবে রাজস্থানে অত্যাচারের ঘটনা বাড়ছে, মণিপুরের ঘটনার পাশাপাশি এটাও আমাদের খেয়াল রাখা দরকার। এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
এর আগে বিএসপিতে ছিলেন রাজেন্দ্র। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আরও পাঁচজন বিধায়ককে নিয়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তবে কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, গেহলটের সঙ্গে রাজেন্দ্রর ভালো সম্পর্ক। গেহলট যখন সংকটে ছিলেন তখন কিন্তু পাশে ছিলেন রাজেন্দ্র। কিন্তু যে মন্ত্রীত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে খুশি ছিলেন না তিনি। কিন্তু এনিয়ে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি ধীরে ধীরে সচিন পাইলটের লবির দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন।
কংগ্রেস বিধায়ক ওয়াজিব আলি জানিয়েছেন, এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা উন্নয়নের জন্য় কংগ্রেসে এসেছিলাম। স্থায়ী সরকার তৈরির চেষ্টা করেছিলাম। তবে আমরা কংগ্রেসের সঙ্গেই রয়েছি।
বিজেপি বিধায়ক বাসুদেব দেবনানি জানিয়েছেন, যেটা বিধানসভায় রাজেন্দ্র বলেছেন সেটা সত্যি।মণিপুরের ঘটনা রাজস্থানেও হতে পারে। যখন গেহলট বুঝছেন তাঁর চেয়ারই নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে তখনই এই সিদ্ধান্ত নিলেন। তবে রাজেন্দ্রর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।