রাশিয়া এবং ইউক্রেনের ‘যুদ্ধের’ জেরে বৃহস্পতিবার ধস নামল ভারতের শেয়ার বাজারে। পড়ল সেনসেক্স এবং নিফটি। পতনের সাক্ষী থাকল ৩,০৮৪ টি সংস্থার শেয়ার। মাত্র ২৪০ টি সংস্থার শেয়ার উঠেছে। ৬৯ টি শেয়ারের কোনও হেরফের হয়নি।
বুধবার বাজার বন্ধের সময় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) সেনসেক্স ছিল ৫৭,২৩২.০৬ পয়েন্টে। বৃহস্পতিবার বাজার খোলার ঠিক আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পরই ধাক্কা খায় সেনসেক্স। একটা সময় সেনসেক্স ৫৪,৩৮৩.২ পয়েন্টেও নেমে গিয়েছিল। সেখান থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স ৫৪,৫২৯.৯১ পয়েন্টে ঠেকেছে। অর্থাত্ বৃহস্পতিবার ২,৭০২.১৫ পয়েন্ট (৪.৭২ শতাংশ) খুইয়েছে সেনসেক্স। একই অবস্থা হয়েছে নিফটির। বৃহস্পতিবার নিফটি ৪.৭৮ শতাংশ বা ৮১৫.৩ পয়েন্ট কমে ঠেকেছে ১৬.২৪৭.৯৫-তে। যা বুধবার বাজার বন্ধের সময় ১৭,০০০ পয়েন্টের উপর ছিল। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার তো ১৬,২০৩.২৫ পয়েন্টেও নেমে গিয়েছিল নিফটি।
‘যুদ্ধের’ জেরে বৃহস্পতিবার নিফটিতে সব সংস্থার শেয়ারেরই রক্তক্ষরণ হয়েছে। সবথেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছে টাটা মোটর্স, ইনডাসল্যান্ড ব্যাঙ্ক, ইউপিএল গ্র্যাসিম ইন্ডাস্ট্রিজ, আদানি পোর্টের মতো সংস্থা। সার্বিকভাবে বৃহস্পতিবার পতনের সাক্ষী থেকেছে ৩,০৮৪ টি সংস্থার শেয়ার। মাত্র ২৪০ টি সংস্থার শেয়ার উঠেছে। ৬৯ টি শেয়ারের কোনও হেরফের হয়নি।
তবে শুধু ভারত নয়, রাশিয়ার আগ্রাসনে বৃহস্পতিবার বিশ্ব বাজারই ধাক্কা খেয়েছে। বেড়েছে সোনা, অপরিশোধিত তেলের দাম। তা নিয়ে অবশ্য বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন নয় রাশিয়া। বরং ক্রেমলিনের তরফে বুক ফুলিয়ে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনে 'আক্রমণের' খবরে 'আবেগপ্রবণ' হয়ে পড়েছিল। সেজন্য কমেছে রুবেলের মূল্য। যা একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল বলে দাবি করেছে রাশিয়া।