আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে(ISS) ১২ দিনের শ্যুটিং শেষ। নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে এলেন রুশ প্রযোজক-পরিচালক ক্লিম শিপেনকো এবং অভিনেত্রী ইউলিয়া পেরেসিল্ড। রবিবার কাজাখস্তানের জেজকাজগানে অবতরণ করেন তাঁরা। সিনেমা ও মহাকাশ অভিযান, দুইয়ের ক্ষেত্রেই ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ক্লিম শিপেনকো ও ইউলিয়া পেরেসিল্ড।
এই দুইজন ছাড়াও সঙ্গে ছিলেন অভিজ্ঞ মহাকাশচারী ওলেগ নোভিস্কি। সোয়ুজ এমএস-১৯ মহাকাশযানে করে তাঁরা পাড়ি দিয়েছিলেন স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে। এর আগের মিশনেই ওলেগ স্পেস স্টেশনে ১৯১ দিন কাটিয়ে এসেছিলেন।
গত ৫ অক্টোবর তাঁরা আইএসএস-এ পৌঁছেছিলেন। এরপরেই শুরু হয় সিনেমার দৃশ্যের শুটিং।
১৭ অক্টোবর অবতরণের পরেই হেলিকপ্টারে করে ক্রুদের কারাগান্ডা নামের এক শহরে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের সুস্থতা নিশ্চিত করা হয়। এরপর সেখান থেকে তাঁরা গ্যাগারিন কসমোনাট ট্রেনিং সেন্টারের বিমানে রাশিয়ার স্টার সিটিতে তাঁদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দেন। আপাতত তাঁদের ১০ দিনের রিহ্যাব করা হবে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ও বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো হবে। তবে খুব বেশিদিন মহাকাশে না থাকায় বিশেষ সমস্যা হবে না।
কিন্তু একটা সিনেমার জন্য এত বিপুল খরচ!
এই বিপুল খরচ কে বহন করল? জানা গিয়েছে যে এই মিশনে রসকসমস(রুশ মহাকাশ সংস্থা, ভারতের ইসরোর মতো) এবং মস্কোভিত্তিক এক মিডিয়া সংস্থার মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি ছিল।
কোন সিনের শ্যুটিং হয়েছে?
এই সিনেমায় অভিনেত্রী ইউলিয়া পেরেসিল্ড একজন হার্ট সার্জনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সেখানে দেখানো হচ্ছে যে তিনি স্পেস স্টেশনের এক নভোশ্চরকে বাঁচাতে সেখানে এসেছেন।
বলাই বাহুল্য, এই অভিযানের আগে বহুদিন ধরেই প্রযোজক-পরিচালক ক্লিম শিপেনকো এবং অভিনেত্রী ইউলিয়াকে কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ইউলিয়া জানান, 'এটি মানসিক এবং শারীরিক, দুই দিক দিয়েই ভীষণ কঠিন ছিল।'