রিলায়েন্স কমিউনেকশনের স্পেকট্রাম ব্যবহার করে রিলায়েন্স জিও। তাহলে অনিল আম্বানির সংস্থার যে রাজস্ব দেওয়া বাকি কেন্দ্রকে, সেই টাকা জিও কেন মেটাবে না, এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে কৈফিয়ত দিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের দুই মন্ত্রকের মধ্যে বর্তমানে এই নিয়ে দ্বিমত আছে।
টেলিকম মন্ত্রক ও কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক এই ইস্যুতে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে। কেন্দ্র ও টেলিকম দফতরের হয়ে সলিসিটির জেনারেল তুষার মেহতা বলেন যে সুপ্রিম কোর্ট যা বলবে, তারা সেই অনুযায়ী কাজ করবেন।
তিন সদস্যের বেঞ্চ এদিন টেলিকম দফতরকে আরকমের বছর ভিত্তিক দেনার পরিমাণের হিসাব দিতে বলে। মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে। জিও-র হয়ে হরিশ সালভে বলেন যে তার সংস্থা আরকমের স্পেকট্রাম কেনেনি। তুষার মেহতাও বলেন যে স্পেকট্রাম শেয়ার করা আর কেনা এক নয়।
তিনি বলেন টেলিকম দফতর মনে করে স্পেকট্রাম বিক্রি করা যায় না যখন সংস্থা দেউলিয়া হয়ে গেছে তার থেকে। অন্যদিকে কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক মনে করে যাতে সংস্থার দাম আরও বাড়ে স্পেকট্রাম তারা বেচে দিতে পারে।
তুষার মেহতা বলেন যে স্পেকট্রাম প্রাকৃতিক সম্পদ, সেটা বিক্রি করার প্রশ্ন নেই। সুপ্রিম কোর্ট বলে সব হিসাব দেখান। দেউলিয়া হয়ে যাওয়া আরকমের কি কি নিয়মের ভিত্তিতে বেচা হচ্ছে, সেই তথ্যও চেয়ে পাঠায় শীর্ষ আদালত।
এদিন আরকমের তরফ থেকে শ্যাম দিওয়ান বলেন যে সংস্থার এই মুহূর্তে দাম ১৫, ১৪০ কোটি টাকা। তখন আদালত বলে একসময় তো জিও ৩৫ হাজার কোটি টাকায় আরকম কিনতে চেয়েছিল। হঠাৎ দাম এত পড়ে কী করে গেল, সেই প্রশ্ন করে আদালত। দিওয়ানের মতে স্পেকট্রাম বিক্রি করা যায়।
প্রসঙ্গত, ১৪ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রথমবার এই প্রশ্ন করে যে কেন জিও অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ-র টাকা দেবে না যেটা আরকম দিতে পারছে না যেখানে তাদের স্পেকট্রাম ব্যবহার করছে তারা।
আরকম ও রিলায়েন্স জিও-র মধ্যে চুক্তিপত্র আদালতে পেশ করতে বলেছিল। অন্য যে সব টেলিকম সংস্থা যারা এখন আর এই ব্যবসা করে না, তাদেরও সুপ্রিম কোর্ট জিজ্ঞেস করেছে যে স্পেকট্রামগুলি ব্যবহার কে করছে।