পাবজি খেলে গিয়ে প্রেমে পড়েছিলেন। প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে নয়ডা পৌঁছন সীমা হায়দার। তাঁর জীবনের উপর ভিত্তি করে একটি ছবিও তৈরি হচ্ছে। সেই ছবির জন্য আপাতত খবরের শিরোনামে সীমা। ছবিটির প্রয়োজনা করেছে জনি ফায়ার ফক্স প্রোডাকশন হাউস। ছবিতে সীমার নয়ডা থেকে আসা এবং শচিনের সঙ্গে প্রেমের গল্প দেখানো হচ্ছে। ছবির চরিত্রগুলির জন্য অভিনেতাদের অডিশন নেওয়া শুরু করেছে প্রোডাকশন হাউসটি।
বুধবার নয়ডা ফিল্ম সিটি সেকটর-১৪ একটি স্টুডিওতে অডিশন শুরু হয়েছে। ছবির প্রধান চরিত্র সীমা হায়দারের সঙ্গে অডিশন দিচ্ছেন অভিনেতারা। সেই অডিশনের ক্লিপ সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সেই ভিডিও ক্লিপে দেখা অভিনেত্রী ও মডেলদের সঙ্গে সংলাপ বলতে দেখা যাচ্ছে। সংলাপ কিছুটা এই রকম, সীমা বলছে,'আমি তোমাকে ভালবাসি শচিন, ধর্মের দেওয়াল আর সীমানা আমাদের আলাদা করতে পারবে না। শচিন খালি একটাই ভয় পাচ্ছি, কেউ আমার বাচ্চাগের নিয়ে যাবে।' জবাবে শচিন বলছে,'সাবধান আবার যদি এমন কথা বল। ওরা শুরু তোমরা সন্তান নয়, আমারও। তুমি গোলাম হায়দারের দাসত্ব থেকে বেরিয়ে এসো। আর অপেক্ষাপ কারণ নেই।'
ছবিতে কী ভাবে সীমা গ্রেটার নয়ডায় পৌঁছেছিল তা দেখানো হবে। পাশাপাশি দেশে এসে সীমা ও শচিন যে ভাবে পুলিশ এবং তদন্তকারী অফিসারের মুখোমুখি হয়েছিল তাও দেখানো হবে। প্রধান চরিত্রের জন্য সীমার মতো একজন অভিনেত্রী খোঁজার চেষ্টা চলছে।
এর আগে 'এ টেইলর মার্ডার স্টোরি' চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সীমা। ছবির এজেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করবেন তিনি। তবে তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে ক্লিনচিট দিলে তবে ছবির শুটিং শুরু হবে।
২০১৯ সালে পাবজি খেলতে গিয়ে সীমা হায়দারের সঙ্গে সচিনের পরিচয় হয়। ১০ মার্চ ২০২৩-এ নেপালে দুজনে দেখা করেন। পরে চার সন্তানকে নিয়ে ভারতে চলে আসেন সীমা। ৪ জুলাই পুলিশ সীমা, শচিন ও শচিনের বাবাকে গ্রেফতার করে। ৮ জুলাই তাঁরা তিনজন আদালত থেকে ছাড়া পান। এর পর সীমা শচিনের রবুপুরার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।