কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে সুর কিছুটা নরম করল কেন্দ্র। একইসঙ্গে শর্ত চাপিয়ে স্পষ্টভাবে জানানো হল, কেন্দ্রের নির্ধারিত জায়গায় সরে গেলেই চাষিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই শর্তে অবশ্য না-খুশ কৃষক সংগঠনগুলি।
বিক্ষোভের জন্য শনিবার চাষিদের নয়াদিল্লির বুরারির মাঠে সরে যাওয়ার আর্জি জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, কৃষকরা যাতে গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভে সামিল হতে পারেন এবং তাঁদের সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, সেজন্য উত্তর দিল্লির মাঠে জল, শৌচাগার এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিক্ষোভরত চাষিদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জ এবং জলকামান ব্যবহারের পর শাহ বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং দেশের কয়েকটি অংশের কৃষকরা দিল্লির সীমান্তে এসেছেন। গতকাল (শুক্রবার) থেকে চাষিরা পঞ্জাবের দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ের কাছে জমায়েত করে আছেন। প্রবল ঠান্ডার কারণে কৃষকরা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। অন্যান্য মানুষরাও সমস্যার মুখে পড়ছেন।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসিয়াল হোয়্যাটসঅ্যাপে গ্রুপে বার্তা পোস্ট করে শাহের আর্জি, ‘তাই আমাদের চাষি ভাইদের কাছে বিনীতভাবে আবেদন জানাচ্ছি যে দিল্লির বুরারিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা করেছে সরকার। যেখানে আপনারা বিক্ষোভ দেখাতে পারবেন।’
শাহ জানিয়েছেন, চাষিদের সমস্যাগুলি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনার জন্য আগামী ৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তাঁদের একটি প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কয়েকটি কৃষক সংগঠন দাবি জানিয়েছে যে ৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে অবিলম্বে আলোচনা করতে হবে। আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে আপনারা (বুরারির) মাঠে সরে গেলেই কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনায় বসতে রাজি আছে।’
যদিও শাহের সেই শর্তে একেবারেই সন্তুষ্ট নয কৃষক সংগঠনগুলি। দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমান্তে জড়ো হওয়া ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের পঞ্জাবের সভাপতি জগজিৎ সিং বলেন, ‘শর্তের ভিত্তিতে অমিত শাহজি আগে বৈঠকের জন্য ডেকেছেন। এটা ভালো নয়। কোনওরকম শর্ত ছাড়াই খোলা মনে তাঁর আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া উচিত ছিল। আমাদের প্রতিক্রিয়া নিযে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আগামিকাল (রবিবার) সকালে আমরা বৈঠক করব।’