ফের একবার কংগ্রেসে ‘বদল’ এনে দলকে ‘পুনরুজ্জীবিত’ করার ডাক দিলেন কংগ্রেস সাসংদ শশী থারুর। উল্লেখ্য, গতকালই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসে। সেখানে সোনিয়া গান্ধী নাকি বলেন, ‘আমি, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেসের পদ থেকে সরতে রাজি। তবে দল সেটা চায় না।’ এই আবহে কংগ্রেসে যেমন চলছিল, তেমনই চলবে। এদিকে শশী ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য না হওয়ায় তিনি বৈঠকে অংশ নেননি। বিক্ষুব্ধ ‘জি ২৩’ গোষ্ঠীর আনন্দ শর্মা, গুলাম নি আজাদ এবং মুকুল ওয়াসনিক যোগ দেন বৈঠকে। এই আবহে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দলে বদল আনার কথা ফের একবার তুললেন শশী থারুর।
জয়পুর লিটারের ফেস্টে অংশ নিয়ে শশী থারুর বলেন, ‘কংগ্রেসের সামনে সুযোগ আছে একক বৃহত্তম দল হওয়ার।’ তবে সাম্প্রতিক রাজ্য নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যে তিনি হতাশ, তা তিনি গোপন করেননি। তিনি মনে করেন যে গোয়া এবং উত্তরাখণ্ডে দল আরও ফল করতে পারত। তবে শশী থারুর আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ভোটাররা যেকোনও দিন বিজেপিকে অবাক করে দিতে পারে। তবে এই মুহূর্তে বিজেপি যা চায়, তাদের সেটাই দিয়েছেন ভারতীয় ভোটাররা।’
এদিকে সাম্প্রতিক ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির মাঝেই তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির মতো আঞ্চলিক দলগুলি বিরোধী পরিসরে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে শশী থারুরের স্পষ্ট বক্তব্য, কংগ্রেসই দেশে সবচেয়ে শক্তিশালী বিরোধী দল। তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন, তাতে দেশে কোন দলের কত বিধায়ক, তা তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তালিকার শীর্ষে বিজেপি। তার পরেই কংগ্রেস। দেশ জুড়ে হাত শিবিরের বিধায়ক সংখ্যা ৭৫০-র বেশি। এরপর তৃতীয় স্থানে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তৃণমূলের থেকে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা তিন গুনেরও বেশি। শশী বলেন, ‘আমি দেশপ্রেমিক, আমি আমার ভারতের ভালো দেখতে চাই। ভারত যদি মহান হয় তাহলে মানুষ সুখী হবে, খাওয়ার জন্য খাবার, বাচ্চাদের শিক্ষা এবং ভবিষ্যতে চাকরি হোক... আমি এখনও এই ভারতের জন্য সংগ্রাম করতে প্রস্তুত।’