অবশেষে ত্রিপুরা ছাড়তে পারলেন লকডাউনের আগে থেকে আটকে পড়া স্পেনের মহিলা সাইক্লিস্ট। তাঁকে নিয়ে রওনা দিল আগরতলা-দিল্লি ট্রেন। দিল্লি থেকে আগামী ৩০ মে মাদ্রিদের বিমান ধরবেন বিদেশিনী।
দক্ষিণ এশিয়ায় সাইকেল অভিযানে নেমে গত ৯ মার্চ বাংলাদেশ থেকে আখাউরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন পেশায় নার্স স্পেনের নাগরিক ইয়েসেনিয়া এরেরা ফেবলেস। আগরতলায় ১০ দিন থাকার পরে মিজোরামের পথে তিনি উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরে পৌঁছন। কিন্তু ত্রিপুরা-মিজোরাম সীমান্ত থেকে তাঁকে করোনা পরীক্ষা করার জন্য তাঁকে আগরতলা ফেরত পাঠান রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেখানে পৌঁছলে তাঁকে প্রথমে একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১৪ দিন রাখার পরে ফের আর এক কেন্দ্রে আরও ১৪ দিন বিচ্ছিন্নবাসে বাধ্য করা হয়।
স্প্যানিশ তরুণীর দাবি, মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও কেন তাঁকে দু’ বার কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হল, তার ব্যাখ্যা দেননি কর্মীরা। তা ছাড়া শুধুমাত্র স্প্যানিশ ও ইংরেজি জানার কারণে স্থানীয়দের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তাও সীমিত ছিল বলে জানিয়েছেন ইয়েসেনিয়া।
শেষে বহু চেষ্টার পরে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি ও হোলি ক্রস খ্রিস্টান মিশনারি সংস্থা পরিচালিত স্থানীয় আশা সেন্টারের দায়িত্বে থাকা ফাদার পল পুদুসেরির সঙ্গে যোগাযোগ হলে তিনি তাঁকে বিনামূল্যে আশ্রয় ও খাদ্যের ব্যবস্থা করে দেন। সেখানে থাকতেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় আরও তিন সাইকেল অভিযাত্রী ক্লিফিন জে ফ্রান্সিস, হাসিব এপসান ও ডোনা অ্যান জেকবের। ওই তিন জন টোকিও অলিম্পিকে উপস্থিত থাকতে জাপান যাচ্ছিলেন।
ত্রিপুরায় থাকাকালীন চার বিদেশি সাইক্লিস্ট স্থানীয় ত্রাণ পরিষেবায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন, জানিয়েছেন পল। ইয়েসেনিয়া স্পেনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পেলেও বাকি তিন জন কবে ত্রিপুরা ছাড়তে পারবেন, তা এখনও অনিশ্চিত।