হবিবুর রহমান বরভুঁইয়া। অসমের শিলচরের তোপখানা এলাকার বাসিন্দা। রাস্তার ধারে সবজি বিক্রি করে কোনওরকমে সংসার চালান ২৭ বছর বয়সী ওই যুবক। আচমকাই তার নামে একটি নোটিশ আসে। তাঁর দাবি, এক বছর ধরে তিনি নাকি ১৭ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। জিএসটি না দেওয়ার জেরেই তাঁকে ৯ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এরপরই আকাশ ভেঙে পড়ে হবিবুরের মাথায়। তাঁর দাবি, জীবনে তো ১০০ টাকারও সুপারি বেচিনি। আমি কবে সুপারি বিক্রি করলাম? সেটাও আবার ১৭ কোটি টাকার?
তাঁর দাবি বছরখানেক আগে সবজির ব্যবসা শুরু করার জন্য় স্থানীয় এক মহাজনের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। রাজু বরভুঁইয়া নামে ওই ব্যবসায়ী তখন তার জিএসটি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য নানা ধরনের নথি চেয়ে নেয়। পরে অবশ্য তাকে জানানো হয় তার নথিপত্র হারিয়ে গিয়েছে। এদিকে গত মাসে ওই ব্যক্তি হবিবুরকে ডেকে জানায় তার ১৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এদিকে আয়কর দফতরে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তিনি নাকি ১৭ কোটি টাকার সুপারি লেনদেন করেছেন। তাঁর প্রশ্ন যে ব্যবসা কোনওদিন করিনি তার জন্য় জরিমানা দেব কেন?
এরপরই তিনি ওই মহাজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি তার নথি ব্যবহার করে জিএসটি নম্বর বের করে প্রতারণা করা হয়েছে। এদিকে সূত্রের খবর, প্রচুর পরিমাণে সুপারি পাচার হয়। সেই অবৈধ ব্যবসার জন্যই এই জিএসটি প্রতারণা হতে পারে। শিলচরের সাংসদ ডাঃ রাজদীপ রায় বলেন, জিএসটি বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। যে অভিযোগ সবজিওয়ালা তুলেছেন তার সত্যতা আছে।