চলন্ত ট্রেনে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কনস্টেবলের বয়স ৩০ বছরের কাছারাছি বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী ছাত্রীর লাগেজ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তার আগে মেয়েটিকে হুমকিও দিয়েছিল সে। (আরও পড়ুন: ট্রেনে জামাকাপড় খুলিয়ে বেল্ট দিয়ে মার, দাড়ি ধরে টান রেলযাত্রীর, ভাইরাল ভিডিয়ো)
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার প্রয়াগরাজ থেকে পিলিভীতে ফিরছিলেন নির্যাতিতা ছাত্রী। সেই ছাত্রী বিএসএফ জওয়ানের মেয়ে। সেই সময়ই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর লালসার শিকার হন তিনি। নির্যাতিতা রেলওয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, যার পরে বেরেলির আধিকারিকরা সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করেছে৷ অভিযুক্তকে পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর নাম মহাম্মদ তৌফিক আহমেদ। নির্যাতিতা অভিযোগ, তৌফিক পুলিশের ইউনিফর্মে ছিল। তৌফিক তাঁকে অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করেছিল। এরপর তিনি তাঁর কোচ পরিবর্তন করেন। কিন্তু তৌফিক সেখানেও তাঁকে অনুসরণ করে। মেয়েটি আরও বলেছে যে অভিযুক্ত তার ট্রলি ব্যাগ এবং হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে চলে যায়।
আরও পড়ুন: লিভ ইন পার্টনার নিখোঁজ, সন্দেহের বশে যুবকের মা-বাবাকে ছুরিকাত বিবাহিত যুবতীর
জিআরপি সার্কেল অফিসার (মোরাদাবাদ) দেবী দয়াল বলেন, 'মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ভারতীয় দণ্ডবিধির যথাযথ ধারায় মামলা রুজু করেছি। পাশাপাশি পকসো এবং এসসি/এসটি আইনের অধীনেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছি। অভিযুক্ত ঘটনার সময় মাদকাশক্ত ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। শনিবার তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।' এদিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত তাদের নজরদারির মধ্যে ছিল। মেয়েটির লাগেজ তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেছেন। বাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তৌফিককে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup