সমন জারি করা একটি ‘ঠুনকো আনুষ্ঠানিকতা’ নয়। মঙ্গলবার এমনই পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের কথায়, একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে নিজের বিবেক প্রয়োগ করে বুঝতে হবে যে একজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালানোর জন্য পর্যাপ্ত ভিত্তি আছে কি না। উল্লেখ্য, এক ওষুধ প্রস্তুকারক সংস্থার ডিরেক্টরকে সমন জারি করেছিল এক আদালত। সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সংশ্লিষ্ট ডিরেক্টর। সেই মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রায় দেয় বিচারপতি বিআর গবাই এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ। সুপ্রিম বেঞ্চ আদালতের সমন জারির নির্দেশ খারিজ করে দেয়।
এর প্রেক্ষিতে বেঞ্চ বলে, ‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে একটি মামলা থাকতে পারে। তা বলে সমন জারির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে যদি কোনও কারণ না দেওয়া হয় তবে সেই আদেশটি বাতিল করা হবে। আদালতের রায়তে এটা বলা থাকতে হবে যে কী কারণে সমন জারি করা হচ্ছে।’ সংশ্লিষ্ট মামলার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত বলে, ‘একজন ব্যক্তি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার ডিরেক্টর বলেই যে তিনি ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্টের আওতায় পড়েন, এমনটা নয়। একজন ব্যক্তিকে ততক্ষণ দায়ী করা যাবে না, যদি না বস্তুগত সময়ে, তিনি কোম্পানির দায়িত্বে থেকে থাকেন এবং তাঁর ব্যবসা পরিচালনার পদ্ধতির কারণে কোম্পানি দায়ী হয়ে থাকে।’
আদালত বলে, ‘একজন ব্যক্তি কোনও সংস্থার ডিরেক্টর মানেই যে রোজকার সব ঘটনাবলি তাঁর জানা থাকবে, এমনটা নয়। শুধুমাত্র কোনও আইনের ধারা বলে দেওয়া হল কিন্তু সেই ডিরেক্টর কেন এই মামলার সঙ্গে যুক্ত, সেই সংক্রান্ত কোনও স্পষ্ট কারণ দেওয়া হল না, তাহলে কীভাবে সেই ব্যক্তিকে দায়বদ্ধ হিসেবে গণ্য করা যায়।’