আদালত অবমাননা মামলায় আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রশান্ত ভূষণ। ক্ষমা চাওয়ার জন্য দুই দিন সময় দিলেও সেই সুযোগ নেন নি প্রতিথযশা আইনজীবী। মঙ্গলবার ছিল ভূষণের কী শাস্তি হতে পারে, এই নিয়ে শুনানি। এদিন নিজেদের রায় রিজার্ভ করে রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন ফের অ্যাটর্নি জেনারেল বেনুগোপাল বলেন যে প্রশান্ত ভূষণকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হোক। শাস্তি দেওয়ার দরকার নেই। প্রশান্ত ভূষণের আইনজীবী চেয়েছিলেন তাঁর ক্ষমা না চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে পুরো বিবৃতিটি পরে শোনাতে। কিন্তু আদালত তাতে রাজি হয়নি। অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেন যে প্রশান্ত ভূষণের এই বক্তব্য আরও আপত্তিকর।
বিভিন্ন আইনজীবী বারবার করে আদালতকে নমনীয় হওয়ার আর্জি জানান। অরুণ মিশ্রর বেঞ্চ বলে যে প্রশান্ত ভূষণ তো নিজের টুইটের জন্য ক্ষমাও চাইছেন না, অনুশোচনাও প্রকাশ করছেন না। তাহলে চলবে কি করে। বিচারপতিরা বলেন যে গঠনমূলক সমালোচনা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বিচারপতিরা কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কোনও রায় দিয়েছেন, এই অভিযোগ করা উচিত নয়।
বিচারপতি মিশ্র বলেন যে প্রশান্ত ভূষণের মতো ব্যক্তি যখন কোনও অভিযোগ করেন, তখন জনমানসে তার প্রভাব পড়ে। বিচারপতি বলেন যে তাঁরা তো প্রেসে যান না নিজেদের কথা বলতে। যে শপথ তারা নিয়েছেন সেই অনুযায়ী তিনি চলেন বলে জানান বিচারপতি মিশ্র, যিনি আগামী মাসে অবসর নেবেন।
প্রশান্ত ভূষণের আইনজীবী বলেন যে তাঁকে সামলে চলতে বলতে পারে আদালত, কিন্তু কণ্ঠরুদ্ধ করে দিতে পারে না। বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে ভূষণের কাজের বিষয়টি তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এই সব মেনে নিলেও আদালত নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি যে ভূষণ নিজের বিতর্কিত টুইটের জন্য ক্ষমা না চাইলে ভূষণের যে নিস্তার নেই, সেটি কার্যত এদিন স্পষ্ট হয়ে যায়। এবার চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষা।