বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Supreme Court: বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভাঙার প্রতিটি ঘটনাই 'মিথ্যা প্রতিশ্রুতি' নয়, ধর্ষণ মামলায় কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট

Supreme Court: বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভাঙার প্রতিটি ঘটনাই 'মিথ্যা প্রতিশ্রুতি' নয়, ধর্ষণ মামলায় কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)

সুপ্রিম কোর্টে চলছিল ধর্ষণে অভিযুক্তের এক মামলা। এই মামলা আগে গড়িয়েছে নিম্ন আদালত ও দিল্লি হাইকোর্টে। সেই রায়গুলিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি অজয় রস্তোগী ও বিচারপতি বেলা এম রস্তোগীর ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলা।

বিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েও সম্পর্ক শেষ করার ক্ষেত্রে প্রতিটি ঘটনাই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়। এই বার্তা স্পষ্ট করে দিন সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের এই যুক্তির নিরিখে উত্তর পেল বহ প্রশ্ন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলেই কি তা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি হিসাবে বিবেচিত হবে?  প্রতিশ্রুতিতে বিয়ের ভরসা করে সহবাসের পর যদি সম্পর্ক ভাঙে তাহলে পরিস্থিতি কোনদিকে যেতে পারে? পরিস্থিতি এমনও তো হতে পারে যে, প্রতিশ্রুতি যিনি দিয়েছিলেন তিনি প্রথমে তা পূরণ করার কথা ভাবলেও পরে পরিস্থিতি বদলানোয় তিনি কথা রাখতে পারেননি? এমন বহু প্রশ্নই সমাজে নানান সময়ে দানা বেঁধেছে। আর তার নিরিখে এই সুপ্রিম কোর্টের বার্তা বেশ প্রাসঙ্গিক। 

সুপ্রিম কোর্টে চলছিল ধর্ষণে অভিযুক্তের এক মামলা। এই মামলা আগে গড়িয়েছে নিম্ন আদালত ও দিল্লি হাইকোর্টে। সেই রায়গুলিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি অজয় রস্তোগী ও বিচারপতি বেলা এম রস্তোগীর ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলা। মামলাটি চলাকালীন বেঞ্চ জানায় অভিযুক্তকে ধর্ষণের দায়ী দোষী করে ভুল করেছে হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালত। এই মামলায় দেখা যায়, অভিযোগকারিণী বিবাহিত, আর তাঁর ছিল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে অভিযোগকারিণীর উদ্দেশ্য নিয়ে। শীর্ষ আদালতের ওই বেঞ্চ বলে, মিথ্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আনা মহিলা নিজেই জেনে বুঝে বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, সেক্ষেত্রে অভিযোগকারিনীর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে বেঞ্চ। 

উল্লেখ্য, এই মামলা প্রথম দায়ের হয়েছে ২০১৫ সালে। ঘটনার সূত্রপাত আরও বেশ কয়েক বছর আগে হয়। জানা যায়, অভিযোগ যিনি করছেন তিনি তখন তিন সন্তানের মা ও বিবাহিতা। সেই সময় মামলায় অভিযুক্ত সামনের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আর একে অপরকে সেই সময় ভালো লাগে। সেই থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। যে সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্কের রূপ নিতে থাকে। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এরপর ২০১১ সালে সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। পরে সঙ্গীর সঙ্গে তাঁর বাড়ি গিয়ে জানতে পারেন যে ওই ব্যক্তি বিবাহিত। তাঁরও রয়েছে সন্তান। এরপর নিজে বিবাহ বন্ধন থেকে বিচ্ছিন্ন হন মহিলা। ছেড়ে দেন ৩ সন্তানের দায়িত্ব। পরবর্তীকালে ২০১৫ সালে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ততদিনে অভিযুক্ত তাঁকে বিয়ে করতে চাননি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলা। পরে নিম্ন আদালত থেকে মামলা যায় দিল্লি আদালতে। সবশেষে তা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শেষে আদালতের রায়ে মামলায় ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

 

 

 

 

 

 

 

 

বন্ধ করুন