বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Supreme Court on Marital Rape: বৈবাহিক ধর্ষণের আইনি বৈধতা নির্ধারণ করবে সুপ্রিম কোর্ট, শুনানি আগামী মাসে

Supreme Court on Marital Rape: বৈবাহিক ধর্ষণের আইনি বৈধতা নির্ধারণ করবে সুপ্রিম কোর্ট, শুনানি আগামী মাসে

ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য হিন্দুস্তান টাইমস

এর আগে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভক্ত রায় দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে একটি আপিল দায়ের করা হয় এই নিয়ে।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৫ ধারায় থাকা বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত ‘ব্যতিক্রমে’র আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যে পিটিশন দাখিল হয়েছে, তার শুনানি হবে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এদিকে সম্প্রতি বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে কর্ণাটক হাই কোর্ট এবং দিল্লি হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছে, সেগুলিরও বৈধতা খতিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহে এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপিত পিএস নরসিমার বেঞ্চে।

এদিকে মামলাকারী ইন্দিরা জয়সিং বৈবাহিক ধর্ষণের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা পিটিশন এবং দুই রাজ্যের হাই কোর্টের রায়ের বিরোধিতা সংক্রান্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে পৃথক মামলা চেয়েছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা তাঁকে জানান, দুটি পিটিশনকে যুক্ত করে একই সঙ্গে শুনানি হবে। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে মতামত জানতে চেয়ে নোটিশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে ২০১৭ সালে আদালতে হলফনামা দিয়ে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার বিরোধিতা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পরে আবার কেন্দ্র জানায়, বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে মত পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।

এদিকে এর আগে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভক্ত রায় দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে একটি আপিল দায়ের করা হয় এই নিয়ে। এর আগে বহুদিন ধরেই দিল্লি হাই কোর্টে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে মামলা চলেছিল। তবে উচ্চ আদালতের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে কোনও রায় দিতে পারেনি। মামলার রায়ে উচ্চ আদালতের বিচারপতি রাজীব শকধেরের বলেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধিতে এটি ব্যতিক্রম। স্ত্রীদের অসম্মতিতেও স্বামীরা যে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন, এই বিষয়টির নৈতিকভাবে মৌলিক অধিকার বিরোধী।’ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারার ২ নং ব্যতিক্রম তুলে ধরে বিচারপতি শকধের নিজের রায়ে বলেন, ‘যৌনকর্মীরা আইনত না বলতে পারেন, তবে বিবাহিত স্ত্রী তা পারেন না। যদি কোনও মহিলার স্বামী তার স্ত্রীর গণধর্ষণে যুক্ত থাকে, তাহলে সে সম্পর্কের খাতিরে পার পেয়ে যাবে। অন্য অভিযুক্ত ধর্ষণের সাজা ভোগ করলেও ধর্ষণকারী স্বামীর কিছুই হবে না।’

তবে বেঞ্চের অপর বিচারপতি সি হরিশংকর বলেন যে বৈবাহিক সম্পর্কে থাকা কোনও পুরুষ বলপূর্বক স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে তা কোনও আইন লঙ্ঘন করে না। তিনি সংবিধানের ৩৭৬বি ও ১৯৮বির কথা তুলে ধরেন। এবং তিনি বলেন, বৈবাহিক ধর্ষণ অসাংবিধানিক নয়।

এদিকে এই সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে কর্ণাটক হাই কোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, ‘এই ধরনের অসাম্যের অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তা করার দায়িত্ব আইন প্রণেতাদের। যুগে যুগে স্বামীর পোশাক পরিধানকারী পুরুষ নিজেদের স্ত্রীর দেহ, মন ও আত্মার শাসক হিসেবে দেখে আসছে। প্রচলিত এই চিন্তাধারা ও প্রথা মুছে ফেলা উচিত। এই পুরাতন, পশ্চাদপসরণমূলক এবং পূর্বকল্পিত ধারণার উপর ভিত্তি করেই এই ধরণের ঘটনাগুলি দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।’

বন্ধ করুন