ভোটের মধ্যেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সোমবার কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুশীল চন্দ্রকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। সোমবার পদত্যাগ করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।
আগামী ২ মে নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরালা, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে হওয়া নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরের বছরে গোয়া, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের ভোটও পরিচালনা করবেন তিনি।
২০১৯ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন পর বেক্ষণের দায়ীত্বে যোগ দেন সুশীল। গত বছর অশোক লাভাসা কমিশন ছাড়ার পর সিনিয়র নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে পদোন্নতি হয় তাঁর। নির্বাচন কমিশনারের পদে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি ১০ টি রাজ্যের নির্বাচন পরিচালনা করতে সাহায্য করেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনও তিনি পরিচালনা করেন।
১৯৫৭ সালের ১৫ মে তাঁর জন্ম হয়। এরপর রুরকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি টেকে স্নাতক হন সুশীল। তিনি ডিএভি কলেজ থেকে আইনে স্নাতক করেন। তারপর ভারতীয় রাজস্ব পরিষেবায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি ম্যানেজমেন্টের উপর দেরাদুন ও আইএমএফে প্রশিক্ষণ নেন। আইআইএম বেঙ্গালুরু থেকে স্নাতকোত্তর করেন। ১৯৮০ সালে তিনি আইআরএস অফিসার হিসেবে ইন্ডিয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসে যোগদান করেন। তারপর এই পদে তিনি ৩৮ বছর ছিলেন।
কর্মসূত্রে তিনি রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি ছাড়াও একাধিক রাজ্যের সরকারের সঙ্গে কাজ করেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আয়করের কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পরিষদের প্রধান হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সিবিডিটি চেয়ারম্যান পদে দু’বার তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। তারপরই তিনি নির্বাচন কমিশনে যোগদান করেন।