উত্তরপ্রদেশের বদায়ুনে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হল প্রধান অভিযুক্ত। স্থানীয় মন্দিরের পুরোহিত এই ব্যক্তি সেই গ্রামেই লুকিয়ে ছিল যেখানে এই জঘন্য অপরাধ হয়। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ তাকে গিয়ে গ্রেফতার করে।
বেশ কয়েকদিন ধরে অধরা ছিল প্রধান অভিযুক্ত। তার বিষয় খবর দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকার অর্থমূল্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করে পুলিশ। তারপরেই কাজ হয়। বৃহস্পতিবার রাতে পুরোহিত যখন গ্রাম ছাড়তে যায় তখনই স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিশকে। বুধবারই পুরোহিতের সাঙ্গোপাঙ্গোদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে খুন ও ধর্ষণ করা হয় মহিলাটিকে। মন্দিরের মধ্যেই চলে এই নারকীয় কাণ্ড। এই অভিযোগে পুরোহিত সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত আদতে বেরেলির বাসিন্দা। সাত বছর আগে বদায়ুনে আসে সে এবং ওই মন্দিরে থাকতে আরম্ভ করে।
পুলিশে করা অভিযোগ অনুযায়ী, মহিলাটি রবিবার দুপুরে গ্রামের সীমান্তে অবস্থিত ওই মন্দিরে যান। তারপর থেকে আর ফেরেননি। তারপর রবিবার রাতে পুরোহিত ও তার দুই সঙ্গী মহিলার বাড়িতে এসে মৃতদেহটি রেখে দিয়ে চলে যায়। তারা বলে যে মন্দিরের ধারে নালায় পড়ে মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু সেই কথায় সন্তুষ্ট না হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় মহিলার বাড়ির লোক। ময়নাতদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। মহিলার হাড়গোড় ভাঙা ছিল, চোট ছিল ফুসফুসেও। বদায়ুনের মুখ্য স্বাস্থ্যকর্তা যশপাল সিং জানান যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই মৃত্যু হয়েছে মহিলার।পরিবারের লোকদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় পুলিশ অফিসারকে কর্তব্যে গাফিলতির দায় সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেরিলির এডিজি ও বিশেষ টাস্ক ফোর্সকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।