রবিবার জেএনইউতে ঘটা দুষ্কৃতী তাণ্ডবে বহিরাগত তত্ত্বকে কার্যত উড়িয়ে দিল দিল্লি পুলিশ। ভিডিও ও ছবিতে যে মুখোশ ঢাকা দুষ্কৃতীদের দেখা মিলেছে, তারা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া দাবি পুলিশের।
'জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তবেই জেএনইউর ক্যাম্পাসে ঢোকে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশের সাহায্য চায় কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত সাতজন পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে', জানালেন দিল্লির ডিসিপি দক্ষিণ পশ্চিম দেবেন্দ্র আর্য।
'পড়ুয়াদের দুটো দলের মধ্যে লড়াই হয়েছে যারা হোস্টেল ভাঙচুর করেছে এবং সম্পত্তি নষ্ট করে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে। দুই তরফের সাতজন পড়ুয়া আহত হয়েছে,যাদের ইতিমধ্যেই হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছবি এবং ভিডিওতে লাঠি হাতে যাদের দেখা যাচ্ছে তারাও পড়ুয়া', জানান এই পুলিশ আধিকারিক।
এই মুহুর্তে দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোনও জনতার ভিড় নেই। ‘সবদিক খতিয়ে দেখে মামলা দায়ের করা হবে’,জানিয়েছে পুলিশ।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের কমিশানার অমূল্য পটনায়কের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টুইট করে জানায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এদিন রাত সোয়া দশটা নাগাদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে জানানো হয়, ' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লির পুলিশ কমিশানারের সঙ্গে জেএনইউর হিংসা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। এবং তাঁকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে জয়েন্ট সিপি লেভেল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে'।