কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া। তারপর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় প্রবেশ। হ্যাঁ, তিনি সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেব। যিনি রাজ্যসভায় বাঙালির প্রতিনিধিত্ব করবেন। তবে এই কাজে থাকবে না উগ্র জাতীয়তাবাদী মানসিকতা। বাংলা থেকে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হয়ে আজ শিলচরে ফিরে নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন সুস্মিতা দেব।
আজ আবার এই ভাষাই শোনা গেল বাবুল সুপ্রিয়র মুখে। তিনি আজ নয়াদিল্লি থেকে ফিরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাঙালিদের উপর ভরসা করেন না। তাই একটিও ক্যাবিনেট মন্ত্রী নেই বাংলা থেকে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘বাঙালির কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কেউ ভাবছেন না। কিন্তু সেটা উগ্র বাঙালিয়ানা নয়। দিদি জানিয়ে দিয়েছেন, সকলের কথা বলতে হবে। সকলের কথা ভাবতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসে উগ্র বাঙালিয়ানার কোনও জায়গা নেই।’
একুশের নির্বাচনে বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের হুঙ্কার শুনেছিলেন বাংলার মানুষ। সেখানে উগ্র হিন্দুত্ব প্রকাশ পেয়েছিল বলেই অভিযোগ ওঠে। তাই বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারেনি। সুস্মিতারও দাবি, উত্তর–পূর্বের প্রধান সমস্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী বোঝেনই না। তিনি বলেন, ‘এটা রাজনীতির সঙ্কট, পরম্পরার সঙ্কট, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর অস্তিত্বের সঙ্কট। অসমেও এই সংকট চরমে উঠেছে।’
তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে উত্তর–পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরার দায়িত্ব দিয়েছে। আবার বাড়ি তাঁর অসমে। কিন্তু বাংলার হয়ে তাঁকে নয়াদিল্লিতে আওয়াজ তুলতে হবে। এতকিছু একসঙ্গে সামলাবেন কী করে? সুস্মিতার কথায়, ‘আমাকে পশ্চিমবঙ্গের কথা ভাবতে হবে ঠিকই। কিন্তু উত্তর–পূর্বের কথাও ভাবতে হবে। তাছাড়া দিদি তো আছেনই পাশে৷’ সুতরাং তিনি বুঝিয়ে দেন, বাঙালির কথা ভাবতে হলেও সবাইকে নিয়ে চলবেন। আর অসম থেকে ত্রিপুরা তাঁর অবাধ যাতায়াত থাকবেই।