বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > কাশ্মীরে খতম লস্করের ছায়া সংগঠন 'রেজিস্ট্যান্স ফোর্সে'র প্রধান ও তার সহকারী

কাশ্মীরে খতম লস্করের ছায়া সংগঠন 'রেজিস্ট্যান্স ফোর্সে'র প্রধান ও তার সহকারী

প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে হিন্দুস্তান টাইমস (HT_PRINT)

'রেজিস্ট্যান্স ফোর্স' নামক লস্করের ছায়া জঙ্গি সংগঠনের দুই শীর্ষ কমান্ডরকে খতম করল জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ।

'রেজিস্ট্যান্স ফোর্স' নামক লস্করের ছায়া জঙ্গি সংগঠনের দুই শীর্ষ কমান্ডরকে খতম করল জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ। সোমবার আলুচি বাগ অঞ্চলে একটি অভিযানে রেজিস্ট্যান্স ফোর্সের প্রধান মহম্মদ আব্বাস শেখ এবং তার সহকারী সাকিব মঞ্জুরকে পুলিশ খতম করে। একাধিক খুন-সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল এই দুই জঙ্গি কমান্ডর। এই দুই নেতা নতুন প্রজন্মের যুবকদের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিতে উত্সাহ দিত বলে অভিযোগ।

দীর্ঘ ১৫ বছর আগে ২০০৬ সালে মহম্মদ আব্বাস শেখের বিরুদ্ধে প্রথম সন্ত্রাসের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এহেন আব্বাসকে খতম করা নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে এটা একটা বিরাট সাফল্য বলে মনে করছেন কাশ্মীর জোন-এর আইজি বিজয় কুমার। আইজি বিজয় কুমার সাংবাদিকদের বলেন, 'ওরা কোথায় রয়েছে, আমাদের কাছে সে খবর এসেছিল। পুলিশের ১০ জন জওয়ান সাধারণ পোশাকে ওই অঞ্চলটি ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের চ্যালেঞ্জ জানায়। জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করলে দু'পক্ষের মধ্যে গুলিগোলা শুরু হয়। এতে দু'জন মারা যায়।'

জানা গিয়েছে, আব্বাস শেখ এর আগে হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে ছিল। পরে বিগত দুই বছর ধরে টিআরএফ-এর দায়িত্ব সামলাচ্ছিল। গত একবছরে উপত্যকায় চলতে থাকা হত্যাকাণ্ডের বেশির ভাগের মাস্টারমাইন্ড ছিল আব্বাস। বহু সংখ্যক রাজনৈতিক কর্মী, পুলিশকর্মী আর নাগরিকদের খুনে জড়িত ছিল আব্বাস ও তার সহযোগী। আব্বাসের সহযোগী সাকিব মঞ্জুর স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করতে করতেই গতবছর টিআরএফ-এ যোগ দেয়। আব্বাসের নির্দেশে শ্রীনগরে বেশ কিছু খুন করে সাফল্য পাওয়ায় খুব দ্রুত সে সংগঠনের শীর্ষে পৌঁছে যায়। মঞ্জুরের বিরুদ্ধে অন্তত ৬টি খুনের মামলা রয়েছে। তাছাড়া এই জেলা থেকে ৭ জন তরুণকে জঙ্গি গোষ্ঠীতে নিয়ে গিয়েছিল, যাদের মধ্যে ৪ জনকে ইতিমধ্যেই খতম করা হয়েছে।

বন্ধ করুন