উদয়পুরের হত্যাকাণ্ডের খুনিদের কীভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়ে একটি ভিডিয়ো সামনে এল। ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখা গিয়েছে, বাইকে করে পালানোর সময় দুই খুনিকে ধরে ফেলেছে পুলিশ। দু'জনকে পাকড়াও করে ঘুষি, লাথি, লাঠি মারতেও দেখা গিয়েছে।
কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার জাতীয় আহ্বায়ক তথা রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র নীতিন আগরওয়াল টুইটারে একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) শেয়ার করেছেন। তিনি দাবি করেন, 'উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের দুই খুনিকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। ঘটনাস্থলেই তাদের স্বাগত (পড়ুন মারধর) জানিয়েছে রাজস্থান পুলিশ। আরও যত্ন করা হবে। এটা কংগ্রেসশাসিত রাজস্থান এবং এখানে অসামাজিক লোকজনদের একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।'
উদয়পুরের নৃশংস হত্যাকাণ্ড
পয়গম্বর নিয়ে মন্তব্য বিতর্কে নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করেছিলেন রাজস্থানের উদয়পুরের কানাহাইয়া লাল। তা নিয়ে গত ১৭ জুন কানাহাইয়া লালকে খুনের হুমকি দিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ করে এক অভিযুক্ত রিয়াজ আটারি। সেই ভিডিয়োটি ফেসবুক এবং উদয়পুরের বিভিন্ন হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কানাহাইয়া লাল। পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। হুমকি পাওয়ার পর ছয়দিন দোকানও খোলেননি। মঙ্গলবারই প্রথম দোকান খুলেছিলেন। সেদিনই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ।
কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল?
কাপড় তৈরির বাহানায় মঙ্গলবার দুপুরে কানাহাইয়া লালের দোকানে আসে রিয়াজ এবং ঘাউস মহম্মদ। একজন ভিডিয়ো করছিল। অপরজনের পোশাকের মাপ নিচ্ছিলেন কানাহাইয়া লাল। তারপরই কানাহাইয়া লালের উপর হামলা চালায় কট্টরপন্থীরা। চিৎকার করে দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কানাহাইয়া লাল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কানাহাইয়া লালের গলা কেটে দেয় কট্টরবাদীরা।