এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর প্রদেশের আমরোহা। সেখানের হাসানপুর কোতোয়ালির হাতাইখেড়া এলাকায় ঘটে যায় এক মর্মান্তিক কাণ্ড। সেখানে এক ছোট্ট ৫ বছর বয়সী কামিনী মায়ের পাশে শুয়ে দেখছিল মোবাইল। মোবাইলে চলছিল কার্টুন। আচমকাই মোবাইলটি কামিনীর মুখের ওপর পড়ে যায়। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই ছোট্ট ৫ বছর বয়সী কামিনী অচৈতন্য হয়ে পড়ে। মুহূর্তে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাকের জেরে মৃত্যু হয়েছে ছোট্ট কামিনীর।
হাসপাতাল বলছে, কামিনীকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসানপুর কমিউিনিটি হেল্থ সেন্টারের ইনচার্জ ধ্রুবেন্দ্র কুমার বলছেন, ‘মেয়েটি সম্ভবত হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছে।’ আমরোহার মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার সত্যপাল সিং বলেন, ‘আমরা পরিবারের কাছে আবেদন করেছি দেহকে তুলে দেওয়ার জন্য যাতে তার ময়না তদন্ত হয়। তবে তারা সহমত হচ্ছেন না। এটা তদন্তের বিষয় যে সে হার্ট অ্যাটাকেই মারা গিয়েছে, নাকি অন্য কোনও রোগ ছিল।’ তাৎপর্যমূলকভাবে , আমরোহা ও বিজনৌরে এমন হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে গত ২ মাস ধরে বহু শিশু ও যুবকের হার্ট অ্য়াটাকে মৃত্যুর খবর খানিকটা বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর নেপথ্য়ে কী ঘটে থাকতে পারে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, কীভাবে এমন মৃত্যু ঘটে যাচ্ছে এলাকা জুড়ে? কিছুদিন আগে সেখানে প্রিন্ত কুমার নামে এক ১৬ বছরের শিশু ক্রিকেট খেলার সময় অচৈতন্য হয়ে যায়। পরে জানা যায়, সে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়ে মারা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সদ্য কম বয়সে হার্ট অ্যাটাকের সমস্যায় পড়ে মৃত্যুর ঘটনা বহুভাবে চমকে দিচ্ছে। সদ্য কানপুর আইআইটির এক অধ্যাপকের ক্লাসের মধ্যেই মৃত্যু থেকে শুরু করে কলকাতার কনসার্টের পর শিল্পী কেকের অসুস্থতা ও মৃত্যু অনেককেই অবাক করেছে। এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন বহু তাবড় সেলেবও। এদিকে, চিকিৎসকরা কয়েকটি ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার কথা বলছেন। হার্টের সমস্যার কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবে, তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। যদি দেখা যায়, একটু টলার পরই হাঁফ ধরছে, তাহলে হতে হবে সতর্ক। সতর্ক হতে হবে, যদি বুকের মাঝে ব্যথা হতে থাকে, তাহলে। কোনও ব্যথা যদি হাম চোয়াল বা বাম হাতে হয়, তাহলে সতর্ক হতে হবে। এছাড়াও আপাত বিনা কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলেই হতে হবে সতর্ক।