মাত্র ১০ টাকার রিচার্জ করা হয়েছিল। আর তারপরেই খালি হয়ে গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। হ্যাঁ, এভাবেই প্রতারিত হলেন দুই যুবতী-সহ মোট পাঁচজন। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ধুমনগঞ্জ, ক্যান্ট এবং কর্নেলগঞ্জ থানায় সাইবার জালিয়াতির এমনই মামলা দায়ের হয়েছে।
মহারাজগঞ্জের শিবপ্রসাদ যাদব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি রাজাপুরে ভাড়া থাকেন। ক্যান্ট থানায় করা তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, এয়ারটেলের কাস্টমার কেয়ারে তিনি কোনও একটি বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন। এরপর এক অচেনা নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। বলা হয়, এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ারের তরফে ফোন করা হচ্ছে। এরপর তাঁকে সমস্যার সমাধানের জন্য ১০ টাকার রিচার্জ করতে বলা হয়। শিবপ্রসাদ ১০ টাকা রিচার্জ করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়।
ঠিক একইভাবে সাইবার প্রতারকরা কাসারি মাসারির শ্রেয়া কুশওয়াহার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৮ হাজার টাকা চুরি করেছে। অভিযোগকারীর দাবি, ডেবিট কার্ড শুধুমাত্র তাঁরই কাছে আছে। এমনকী তিনি কারও সঙ্গে পিনও শেয়ার করেননি। সাইবার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, প্রতারকরা শ্রেয়ার ডেবিট কার্ড ক্লোন করে এটিএম থেকে টাকা তুলে নিয়েছে। এ বিষয়ে ধুমগঞ্জ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
একইভাবে, সাইবার প্রতারকরা রাজাপুরের সুশীল ত্রিপাঠীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৩ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে। তিনি ক্যান্ট পুলিশের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। বেইলি কলোনির রূপকুমারী কর্নেলগঞ্জ থানায় একই ধরনের একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি জানান, ফোন পে অ্যাপে অনেক মেসেজ আসছিল কোনও অচেনা প্রেরকের থেকে। সেই সময়ে তাঁর ছেলে মোবাইলে অনলাইনে ক্লাস করছিল। মেসেজ আসার সঙ্গে সঙ্গে অত খেয়াল না করে তাঁর ছেলে 'ইয়েস' করে দেয়। এভাবে দু'বার ইয়েস করে দেয় তাঁর ছেলে। এরপরেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ হাজার টাকা অনলাইনে হাতিয়ে নেওয়া হয়।
কাটরার প্রশালী গুপ্তও এমনই একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। তিনি জানান, ওএলএক্সে খাবার টেবিল বিক্রি করার জন্য তিনি একটি ছবি আপলোড করেন। এই সময়ে এক ব্যক্তি নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, টাকা পেতে প্রশালীকে একটি কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। স্ক্যান করার পরে তাঁর অ্যাকাউন্টে মাত্র ২ টাকা জমা পরে। সমস্যা হচ্ছে বলে আবারও ওই ব্যক্তি প্রশালীকে হোয়াটসঅ্যাপে কিউআর কোড পাঠান। তিনবার কোড স্ক্যান করতেই প্রশালীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়। এরপর ওই ব্যক্তি সমস্ত জায়গা থেকে প্রশালীকে ব্লক করে দেন।